আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জে ২০০৭ সালে খুনের পর লাশ গুম করার অভিযোগে দায়ের করা মামলার কথিত খুন হওয়া সেই যুবক রুবেল ওরফে আল আমিনকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। মামলা হওয়ার ১৩ বছর পর রুবেল এলাকায় ফিরে আসলে বৃহস্পতিবার রাতে এলাকাবাসী ও মামলার আসামিরা তাকে সদর থানায় নিয়ে আসে। শুক্রবার (২১ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ রুবেলকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজুল মোহসিনের আদালতে হাজির করা হয়। পরে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় নিজের পালিয়ে থাকার বিষয়ে জবানবন্দি দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের নিবন্ধন কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, কথিত ভিকটিম রুবেল বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবিন্দ দেন। জবানবন্দি দেওয়া শেষে আদালত রুবেলকে নিজ জিন্মায় ছেড়ে দেন বলে জানান তিনি।
আদালত সূত্র জানায়, নিজের দেওয়া জবানবন্দিতে রুবেল জানিয়েছেন, সে তার মা রহিমা খাতুনের মারধর ও ক্ষুধার যন্ত্রণায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালে আসেন। পরে নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে ট্রেনযোগে কমলাপুর যান। সেখানে দীর্ঘদিন মানুষের কাছে হাত পেতে খেয়ে বেঁচে ছিলেন। এরপর এক লোকের সঙ্গে পরিচয় হলে ওই লোক রামপুরার একটি হোটেলে কাজ নিয়ে দেয় তাকে। এরপর বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন রুবেল। বর্তমানে মগবাজার মধুবাগ হাতিরঝিল সংলগ্ন মসজিদের পাশে ভাড়ায় বসবাস করে সেখানেই রঙ মিস্ত্রির কাজ করছেন তিনি। তার আসল নাম রুবেল হলেও মগবাজারে রঙ মিস্ত্রি আল আমিন নামে সে পরিচিত।
রুবেল আরও জানান, বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ১০ বছর পর তার সঙ্গে তার মায়ের যোগাযোগ হয়। পরে সে ফিরে আসতে চাইলে তার মা বলে তোকে এলাকায় নিয়ে গেলে মেরে ফেলবে। গত ৬ বছর ধরে সে এলাকায় আসতে চাইলেও তার মা তাকে আসতে দেয়নি বলে জানান রুবেল। এক পর্যায়ে তার মাকে না জানিয়েই বুধবার রাতে কুঁড়েরপাড় নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি। তখন তার মা বলে তুই কেন আসছস, তোকে তো মেরে ফেলবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুরে মামলার আসামিরা বিষয়টি জানতে পেরে তাকে আটক করে এবং রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় নিয়ে আসে।
আপনার মতামত লিখুন........