নারায়ণগঞ্জবৃহস্পতিবার , ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

‘খুন হওয়া’ কিশোরী জীবিত উদ্ধার: দুই তদন্ত কর্মকর্তার বিষয়ে আদেশ ২৪ সেপ্টেম্বর

Alokito Narayanganj24
সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০ ৬:১৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আলোকিত নারায়ণগঞ্জ:নারায়ণগঞ্জে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় স্বীকারোক্তি আদায়-সংক্রান্ত ঘটনায় হাইকোর্টের করা রিভিশনের শুনানি শেষ হয়েছে। আদেশের জন্য আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।

বিষয়টি করেছেন রিটকারী আইনজীবী মো. শিশির মনির। রাষ্ট্র ও আবেদনকারী উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পী। আর দুই তদন্তকারী কর্মকর্তার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুনসুরুল হক চৌধুরী।

নারায়ণগঞ্জে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আসামিদের স্বীকারোক্তি আদায়-সংক্রান্ত জবানবন্দি গ্রহণের কার্যক্রমের বৈধতা ও যৌক্তিকতার প্রশ্ন তুলে করা আবেদনের (রিভিশন) ওপর শুনানি হয় গত ২৭ আগস্ট।

এরপর ওই দিনই বিচারিক আদালতের সব রেকর্ড ও মামলার দুই তদন্তকারী কর্মকর্তাকে (আইও) তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। তলবের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় দুই তদন্ত কর্মকর্তা হাইকোর্টে উপস্থিত হন। এর শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন আদালত।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকার স্কুলছাত্রী গত ৪ জুলাই নিখোঁজ হয়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর ১৭ জুলাই সদর মডেল থানায় একটি জিডি করেন স্কুলছাত্রীর বাবা। এক মাস পর ৬ আগস্ট একই থানায় স্কুলছাত্রীর বাবা অপহরণ মামলা করেন।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বন্দর উপজেলার বুরুন্ডি খলিলনগর এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ (২২) ও তার বন্ধু বুরুন্ডি পশ্চিমপাড়া এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে রকিবকে (১৯)। তাদের ওই দিনই গ্রেফতার করা হয়। দুদিন পর গ্রেফতার করা হয় বন্দরের একরামপুর ইস্পাহানি এলাকার বাসিন্দা নৌকার মাঝি খলিলকে (৩৬)।

গত ৯ আগস্ট পুলিশ জানায়, স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেয় আসামিরা। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় এ ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। অথচ ২৩ আগস্ট দুপুরে বন্দরের নবীগঞ্জ রেললাইন এলাকায় সুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায় নিখোঁজ স্কুলছাত্রীকে। সে নিজে তার মাকে একটি দোকান থেকে কল করে ৪ হাজার টাকা চায়!

বাবা-মা এতে অবাক হয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান। পরে স্কুলছাত্রীকে নিয়ে তারা থানায় হাজির হন। তাদের সঙ্গে ছিল কিশোরীর স্বামী ইব্রাহিম। তাকে জীবিত অবস্থায় পাওয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পুলিশের তদন্ত ও আদালতে দেয়া জবানবন্দিও প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

এরপর ‘ধর্ষণের পর নদীতে লাশ ফেলে দেয়া স্কুলছাত্রীর ৪৯ দিন পর জীবিত প্রত্যাবর্তন’ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সংযুক্ত করে মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঁচ আইনজীবীর পক্ষে একটি রিভিশন দায়ের করেন অ্যাডভোকেট মো. শিশির মনির।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!