আলোকিত নারায়ণগঞ্জ ২৪ ডট নেট : অবশেষে বছরব্যাপী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেয়েছে ইসদাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৪৫ শিক্ষার্থী। তবে এখনো অচল প্রতিষ্ঠানটির তিনটি শ্রেণিকক্ষ। বিকল্প ব্যবস্থার পরও ৩টি শ্রেণিকক্ষ পানির নিচেই রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে ইসদাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সরেজমিনে দেখা যায়, বদলে গেছে পুরো প্রতিষ্ঠানের চিত্র। প্রতিষ্ঠানটির সর্বত্র মাটি ফেলা হয়েছে। যার ফলে দীর্ঘদিন পনির নিচে থাকা শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ পানির নিচ থেকে বেরিয়ে এসেছে। যা দেখে আনন্দিত সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তবে প্রতিষ্ঠানটির জমি নিচু হওয়ার কারণে একটি ভবণের ৩টি শ্রেণি কক্ষে এখনো জলাবদ্ধতা ও অচল হয়ে রয়েছে। এই তিনটি শ্রেণি কক্ষ আর ব্যবহার করা যাবে না।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক লতিফা নাহার জানান, ‘বছরব্যাপী জলাবদ্ধতার কারণে ভোগান্তিতে ছিলো ইসদাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা। এই জলাবদ্ধতার কারণে দিন দিন কমে আসছিলো শিক্ষার্থীর সংখ্যা। যার ফলে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলাম আমরা ও স্কুলটির ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা। স্কুলটির সমস্যা দূরীকরণের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন প্রয়াস করেও ব্যার্থ হই আমরা।’
সম্প্রতি প্রেস নারায়ণগঞ্জসহ একাধিক গণমাধ্যমে স্কুলটির দুর্ভোগ জনসম্মুখে তুলে ধরার ফলে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। যার ফলে গত বুধবার বিকেলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অহিন্দ্র কুমার স্কুলটি পরিদর্শন করেন এবং প্রতিষ্ঠানটির জলাবদ্ধতা নিরসনের নির্দেশ দেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির অনেকাংশে মাটি ফেলা হয়। তবে জমি নিচু হওয়ার কারণে একটি ভবণের ৩টি শ্রেণি কক্ষে এখনো জলাবদ্ধতা।
এ বিষয়ে স্কুল কমিটির সহ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আশেপাশের এলাকাগুলোর তুলনায় স্কুলের জমি অনেক নিচু। এখানে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পানি যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই। তাই এই ৩টি কক্ষের জলাবদ্ধতা দূর করা সম্ভব নয়। এই শ্রেণি কক্ষগুলো পরিত্যক্ত হিসেবেই রয়েছে। তবে উক্ত ভবণটি ভেঙ্গে নতুন ভবণ নির্মাণের কথা হচ্ছে। স্কুল মাটে মাটি ফেলা হয়েছে, তবে এখনো কিছু অংশ বাকি আছে। কিছুদিনের মধ্যে তাও হয়ে যাবে।’
আপনার মতামত লিখুন........