নারায়ণগঞ্জসোমবার , ১৪ আগস্ট ২০২৩
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

জাতির কলঙ্কিত দিন ১৫ আগস্ট

Alokito Narayanganj24
আগস্ট ১৪, ২০২৩ ১১:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মো. মনির হোসেনঃ ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস, ইতিহাসের জঘন্যতম, নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটে ১৯৭৫ সালের এই কালরাতে, এ দিন গোটা বাঙালি জাতিকে কলঙ্কিত করেছিল সেনাবাহিনীর উচ্ছৃঙ্খল কিছু বিপথগামী সদস্য, সেদিন রাতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের ঐতিহাসিক ভবনে ঘাতকের নির্মম বুলেট বিদ্ধ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বুক। অকুতোভয় বঙ্গবন্ধু ঘাতকের বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েও খুনিদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন ‘তোরা কী চাস? আমাকে কোথায় নিয়ে যাবি?’ বঙ্গবন্ধুকে দেখেও হাত কাঁপেনি খুনিদের, গুলি চালিয়েছে খুনে চাহনীতে, সেদিন ঘাতকের হাতে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল, রোজী জামাল, ভাই শেখ নাসের, কর্নেল জামিল।
খুনিদের বুলেটে সেদিন আরও প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শিশু বাবু, আরিফ রিন্টু খানসহ অনেকে, ওই সময় দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো বাঙালি তার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে না বলে দৃঢ়বিশ্বাস করতেন বঙ্গবন্ধু, সেজন্য তিনি গণভবনের পরিবর্তে থাকতেন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসভবনে, যে বাড়িটি বাঙালির স্বাধিকার-স্বাধীনতা আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে প্রিয় ছিল বঙ্গবন্ধুর, এখানে থেকেই তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজে সর্বশক্তি নিয়ে ব্রতী ছিলেন। একটু পিছনের দিকে তাকাই যে মানুষটি সমগ্র জাতির জন্যনিজের জীবন দিতে বিন্দু মাত্র দিদ্বা করতো না, উনসত্তর থেকে একাত্তর এক আশ্চর্য সময় বাংলার ইতিহাসে, ছয় দফা থেকে শুরু করে এগারো দফার দাবিতে গণ-অভ্যুত্থান, সামরিক একনায়কের পতন, গণতন্ত্র-সমতা-সামাজিক ন্যায়বিচার আর মানবসত্তার মহিমা সমুন্নত রাখার প্রত্যয়ে একটি জাতির জন্ম, আর তার জীবনে বিরাট চড়াই-উতরাই, পাকিস্তানি শাসকদের হঠকারিতায় সাধারণ নির্বাচনের গণরায় বানচাল হওয়ার পর গণহত্যার প্রেক্ষাপটে ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের শেষে এল ১৬ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের বিজয় দিবস, আনন্দ-বেদনায় মেশানো এ দেশের মানুষের সবচেয়ে গর্বের দিন।
কিন্তু কোথায় যেন এক অপূর্ণতা, সেই অপূর্ণতার অবসান ঘটল ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, যেদিন মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদী নেতা, মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে বাংলাদেশের মাটিতে ফিরে এলেন। তাঁর চরম শত্রুরাও যারা একটা জাতিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার নৃশংস খেলায় মেতেছিল, যাদের সহিংসতার চিহ্ন তখন বাংলাদেশের ঘরে ঘরে তারাও সাহস করেনি এই মানুষটার গায়ে একটি আঁচড় কাটতে; বরং বাধ্য হয়েছিল কোটি মানুষের প্রাণপুরুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সসম্মানে তাঁর প্রিয় জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে। মূলত, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট থেকেই বাংলাদেশে এক বিপরীত ধারার যাত্রা শুরু হয়। বেসামরিক সরকারকে উতখাত করে সামরিক শাসনের অনাচারী ইতিহাস রচিত হতে থাকে, সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া এবং ছড়িয়ে পড়ে ঘৃণার বিষবাষ্প।


বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নোবেল জয়ী পশ্চিম জার্মানির নেতা উইলি ব্রানডিট বলেন, মুজিবকে হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না, যে বাঙালি শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে তারা যে কোনো জঘন্য কাজ করতে পারে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক নীরদ সি চৌধুরী বাঙালিদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি বিশ্বের মানুষের কাছে নিজেদের আত্মঘাতী চরিত্রই তুলে ধরেছে।

দ্য টাইমস অব লন্ডন এর ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট সংখ্যায় উল্লেখ করা হয় ‘সবকিছু সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুকে সবসময় স্মরণ করা হবে, কারণ, তাকে ছাড়া বাংলাদেশের বাস্তব কোনো অস্তিত্ব নেই। একই দিন লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের লাখ লাখ লোক শেখ মুজিবের জঘন্য হত্যাকান্ডকে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করবে, ইতিহাসের মহানায়ককে বাদ দিয়ে খলনায়ককে প্রতিস্থাপনের চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু তা সফল হয়নি; বরং এটাই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে শেখ মুজিবুর রহমান আর বাংলাদেশ অভিন্ন।
১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট নরপিশাচরূপি খুনিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে ঘৃণ্য ইনডেমনিটি আইন জারি করে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে দীর্ঘ ২১ বছর বাঙালি জাতি বিচারহীনতার কলঙ্ককের বোঝা বহন করতে বাধ্য হয়। জাতির পিতা চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যকে জয় করে বিশ্বসভায় একটি উন্নয়নশীল, মর্যাদাবান জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ, সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল, বাঙালি জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন।
নানা কর্মসূচিতে পালন করা হবে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে দিবসটি পালন করবে, এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে, ভোর ৬টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে, সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের কবর জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হবে।

এছাড়া বেলা ১২টায় টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দেয়ার পাশাপাশি থাকছে ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, কতকিছু কিন্তু সেদিন যখন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ঘাতকদের হাতে নিহত হয়ে পরে ছিলো বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারবর্গের লাশ, তখন কোখায় ছিলো তারা আজকে যারা মায়া কান্না দেখান? কোনো প্রতিবাদ করতে দেখা গেলো না কোনো তখনকার নেতাদের? বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের মাঝে বেড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি চেতনার অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাই, ১৯৭৫ সালে মৃত্যুর আগে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের জিজ্ঞেস করেছিল, ‘তোমরা কী চাও?’, এর গভীরতা বোঝার বা এর জবাব দেওয়ার সাহস ঘাতকদের ছিল না, তারা ভেবেছিল ১৮টি বুলেট দিয়ে বাঙালির আদর্শকে চিরতরে নির্মূল করে দেবে। বাঙালির মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চিরঞ্জীব, তার চেতনা অবিনশ্বর, বাঙালি জাতির অস্থিমজ্জায় মিশে আছেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুজিবাদর্শে শাণিত বাংলার আকাশ-বাতাস জল-সমতল, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে শেখ মুজিবুর রহমানের অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চির প্রবাহমান থাকবে।
সেদিন বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছিল, তারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকেই হত্যা করতে চেয়েছিল, হত্যা করতে চেয়েছিল এ দেশের মানুষের গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষাকেই, আজ শঙ্কা জাগে, যখন দেখি যাদের চেতনা বাংলাদেশের স্বরূপ সন্ধানে শাণিত নয়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ যাদের কাছে মূলত স্বার্থসিদ্ধির মূলমন্ত্র, রবীন্দ্রনাথের কথায় চতুর্দিকে তারাই আজকে ‘এসেছে ভক্ত সাজি’, ১৫ আগস্টের বেদনার সঙ্গে এই বেদনাও বুকে বাজে। বিলম্বিত বিচার ও রায় কার্যকর বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোস্তাক আহমেদ বিচারের হাত থেকে খুনিদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করেন, পরবর্তীকালে জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সকে আইন হিসেবে অনুমোদন করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সুদীর্ঘ একুশ বছর পর ক্ষমতায় এলে ১৯৯৬ সালের ১৪ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তিন প্রধান আসামি বরখাস্ত লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একই বছরের ২ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহকারী এ এফ এম মোহিতুল ইসলাম পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সংঘটিত নারকীয় হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় একটি এফআইআর করেন, ১৯৯৬ সালের ১৪ নভেম্বর খুনিদের বিচারের হাতে ন্যস্ত করতে পার্লামেন্টে ইনডেমনিটি আইন বাতিল করা হয়, ১৯৯৭ সালের ১৫ জানুয়ারি সিআইডি এই মামলায় ২০ জনকে অভিযুক্ত করে মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে চার্জশিট দাখিল করে এবং একই বছরের ১২ মার্চ ছয় আসামির উপস্থিতিতে আদালতে বিচার শুরু হয়।
১৯৯৭ সালের ১৯ জুন পর্যন্ত বিচারক বিব্রত হওয়াসহ স্বাধীনতা-বিরোধী চক্রের নানা বাধার কারণে আটবার বিচার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়, এভাবে দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর মামলার রায়ে বিচারক কাজী গোলাম রসুল ১৫ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন। ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ ২৪ দিনের শুনানি শেষে বিভক্ত রায় প্রদান করে, বিচারক এম রুহুল আমিন অভিযুক্ত ১৫ আসামির মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদন্ডাদেশ বজায় রাখেন, কিন্তু অপর বিচারক এ বি এম খায়রুল হক অভিযুক্ত ১৫ জনকেই সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন। পরবর্তীকালে ২০০১ সালের অক্টোবরের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় এলে বিচার কাজ বন্ধ থাকে, দীর্ঘ ছয় বছর পর ২০০৭ সালের ২৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের মুখ্য আইনজীবী বর্তমান সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সুপ্রীম কোর্টে সংক্ষিপ্ত বিবৃতি প্রদান করেন এবং ২৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ ২৭ দিনের শুনানি শেষে ৫ আসামিকে নিয়মিত আপিল করার অনুমতিদানের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন। ২০০৯ সালের ১২ নভেম্বর-২৯ দিনের শুনানির পর চূড়ান্ত আপিল শুনানি শেষ হয় এবং আদালত ১৯ নভেম্বর রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন, ওইদিন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ৫ আসামির দায়ের করা আপিল আবেদন খারিজ করা হয়, ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের রিভিউ খারিজ হয়ে গেলে ২৮ জানুয়ারি ৫ আসামির ফাঁসির রায় কার্যকর করে জাতিকে দায়মুক্ত করা হয়।
২০১০ সালের পর ২০২০ সালের ১২ এপ্রিল ভারতে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর আরও একজন খুনি আব্দুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার ৪৫ বছর, নৃশংস ওই হত্যাকান্ডের মামলার ২৫ বছর এবং উচ্চ আদালতের রায়ে ৫ আসামির ফাঁসি কার্যকরের প্রায় দশ বছর পর গ্রেপ্তার হয় খুনি মাজেদ, কোনো কিছুই এই খুনিদের বিচার আটকাতে পারেনি, বাংলার মাটিতে তাদের বিচার হয়েছে এবং হবেই। অবশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগষ্টে নিহতদের সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।

লেখকঃ কলামিস্ট,
সিনিয়র ষ্টাফ রিপোর্টার বাংলাদেশের আলো
সাধারণ সম্পাদক ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাব।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!