আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এ কর্মরত ১৬ জন কর্মকর্তা প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া করোনা নমুনা সংগ্রহের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত কীট না থাকায় আরো ১০ জন কর্মকতা পরীক্ষা করতে না পেরে উপসর্গ নিয়ে বাসায় আইসোলেশনে রয়েছে। এতে করে পল্লী বিদ্যুৎতের কাজে বিঘ্ন ঘটছে।
সেবা দিতে গিয়ে গত কয়েকদিনে নারায়নগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সুবল চন্দ্র, পিন্টু রঞ্জন ব্যাপারী ইসি আলাউদ্দিন, মিটার টেস্টার মিজান, বিলিং সহকারী তানিয়া, কম্পিউটার অপারেটর মাহমুদা, লাইন টেকনেশিয়ান সফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, লাইনম্যান গ্রেড ওয়ান আলামীন, মেহেদী হাসান, ফারুক হোসেন, কারিমুল, সানী, মেহেদী হাসান-২, নজরুল ইসলাম, সহকারী স্টোর কিপার তুহিন প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাসায় আইসোলেশনে রয়েছে।
এছাড়া আরো ১০ জন কর্মকর্তা করোনা উপসর্গ নিয়ে নিজ বাসায় রয়েছে। গত ৩ দিন ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও গাজী পিসিআর ল্যাবে গিয়েও কীট সংকটের কারনে নমুনা পরীক্ষা করতে পারেনি। এদিকে হঠাৎ করে অফিস গুলোতে জনবল কমে যাওয়ায় ঠিকমত বিদ্যুৎ পরিবেশনে বিঘ্ন হচ্ছে এলাকায়।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা এই মহামারীতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দেয়ার জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। এতে এখানে বর্তমানে কর্মরত জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারসহ ১৬ জনের মত কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত রয়েছে। এছাড়া আরো ১০ জনের মত অসুস্থ্য রয়েছে। সবাই নিজ বাড়ীতে আইসোলেশনে রয়েছে। এ কারণে কাজে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে।
রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নুরজাহান আরা বলেন, কিছুদিন কীট সংকট থাকায় করোনা নমুনা সংগ্রহে সমস্যা হয়েছিল। আজ সোমবার থেকে সীমিত পরিমাণ কীট এসেছে। এ কারণে অনেকে নমুনা পরীক্ষা করাতে এসে করতে না পেরে চলে গেছে। আশা রাখি কয়েকদিনের মধ্যে এর সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন........