আলোকিত নারায়ণগঞ্জ ২৪ ডট নেট : সাধারণ মানুষের নাগরিক সেবা দিতে জেলা পুলিশের কঠোর অবস্থান থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। সোমবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে পুলিশ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা পুলিশের বর্ণাঢ্য র্যালী শেষে শহীদ মিনারে সাংবাদিকদের দেয়া এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ
ঘোষণা দেন। র্যালিটি পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার পথ পায়ে হেটে নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা লিংক রোড হয়ে শহরের প্রধান সড়ক বঙ্গবন্ধু সড়ক প্রদক্ষিন করে চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় পুলিশ সুপার বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ এখন বিভিন্ন ভাবে তাদের কাজ সম্পন্ন করছে। সাধারণ মানুষ আমাদের সার্ভিস পাচ্ছে কিনা সেটাও জানা উচিত। সেই হিসেবেই এই পুলিশ সপ্তাহ। আমরা এখন পুলিশ ফোর্স না, পুলিশ সার্ভিস।
তিনি বলেন, প্রায় এক মাস আগে এই শহীদ মিনারে আমরা বলেছিলাম, আমরা জনগণকে সেবা দিতে চাই। আমরা সেজন্য হকারদের রাস্তা থেকে তুলে দিয়েছি। হকার ভাইদেরও ধন্যবাদ জানাই, তারা আমাদের কথা রেখেছেন। রাস্তার মধ্যে দোকানদারি করবে, রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে লোক তুলবে, অবৈধ স্ট্যান্ড থাকবে, এসব কোন মতে চলবে না। এর বিরুদ্ধে পুলিশের কঠোর অবস্থান থাকবে।
এসপি হারুন বলেন, কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে নিঃসঙ্কোচে থানায় যাবেন। থানায় গিয়ে জিডি করতে গেলে যদি কোন পুলিশ সদস্য হয়রানি করে কিংবা টাকা চায় তাহলে সেখান থেকেই ফোনে আমাকে জানাবেন। ওই পুলিশ সদস্য থানায় থাকবে না। থানায় গেলে মামলা কিংবা জিডি করতে কোন হয়রানির শিকার আপনারা হবেন না। আমি সারাদিন অফিসে থাকি। আমার কোন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে যদি আপনাদের অভিযোগ থাকে তাহলে আমার অফিসে এসে জানাবেন। এছাড়া ৯৯৯ রয়েছে, সেখানেও আপনারা অভিযোগ জানাতে পারেন।
কোন মাদক বিক্রেতার স্থান নারায়ণগঞ্জে থাকবে না উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, মাদক ব্যবসায়ী, ঝুট সন্ত্রাসী, ভূমি দস্যুদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। আমাদের এ্যাকশন অলরেডি শুরু হয়ে গেছে। আমরা বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়েছি।
তিনি বলেন, মানুষের কোন কষ্ট যাতে না হয় সেজন্য আমরা জনগণের কষ্টের উৎসগুলো খুজে বের করে লাঘব করবো। আমরা মানুষের কষ্ট যদি কিছুটাও লাঘব করতে পারি তাহলে এটাই আমাদের স্বার্থকতা।
তিনি আরও বলেন, চাষাড়া মোড় থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত শত শত কাটা রয়েছে। সবাই মনের মতো রাস্তা কেটে ইউটার্ন করা শুরু করেছে। অথচ এই রাস্তায় মাত্র দুই থেকে তিনটা কাটা থাকার কথা। এই কাটাও যানজটের অন্যতম কারণ। আমরা এই কাটা বন্ধ করবো।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেলিম রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মো. নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. ফারুক হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সুবাস সাহা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) মো. মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহীন শাহ পারভেজ, ডিআইও-২ মো. সাজ্জাদ রোমন সহ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
আপনার মতামত লিখুন........