আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পূর্ব ইসদাইরে রসূলবাগ তিনরাস্তার মোড়ে ও বহুতল ভবনের সামনে ট্রান্সফরমার বসানোর জন্য খাম্বা স্থাপন করায় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার আশংকা প্রকাশ করেছে এবং খুঁটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে জোর দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, স্থানীয় এক শিল্পপতি ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে প্রতিহিংসা পরায়নবশত মুক্তিযোদ্ধার কন্যা পলির বাড়ির সামনে ডিপিডিসির কতিপয় অসাধু কর্মচারীকে ম্যানেজ করে মুক্তিযোদ্ধার কন্যার বাড়ির সামনে ও তিনরাস্তার মোড়ে খুঁটি বা খাম্বা স্থাপন করে।এলাকাবাসী তীব্র প্রতিবাদ করা সত্বেও প্রভাবশালী হাজ্বী আবুল কাশেমের টাকার কাছে বিক্রি হয়ে খাম্বা স্থাপন করে ডিপিডিসি।
পরে এলাকাবাসী বিভিন্ন দপ্তরে খুঁটি সরানোর জন্য আবেদন পত্র দিলে তা মঞ্জুর করা হয়।৩ বার খুটিঁ সরাতে এলে ঐ প্রভাবশালী হাজ্বী আবুল কাশেম তার লোকজন নিয়ে বাঁধা প্রধান করায় ডিপিডিসি খুঁটি না সরিয়ে চলে আসে।
প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা বাকেরের মেয়ের জামাতা মতিন ও ফিরোজ মোল্লা জানান, আজ থেকে ৪০ বছর আগে জমি কিনে টিনসেড বাড়ি করে বসবাস করতে থাকি।১৫ বছর আগে ৫ তলা বিল্ডিং নির্মান করে শান্তিপূর্ন ভাবে বসবাস করে আসছি।
বিল্ডিংর নির্মান করার পর থেকে আমাদের বাড়ির প্রতি কুনজর পড়ে ভূমিদস্যু ও মামলা বাজ আবুল কাশেমের। বাড়ি কিনতে না পেরে আমাদের বিরুদ্ধে ১১ টি মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করে যাচ্ছে।কোনভাবেই আমাদের সাথে কুলিয়ে উঠতে না পেরে ডিপিডিসির অসাধু ব্যক্তিকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে বাড়ির সামনের গেইট সংলগ্ন ও তিনরাস্তার মোড়ে ট্রান্সফরমার বসানোর অজুহাত দেখিয়ে আরেকটি খুঁটি বসানো হয় বছর দুই আগে।
আইন ও নিয়ম বহিভূর্ত হওয়ায় এবং এলাকাবাসীর জন্য ঝুকিপূর্ণ হওয়ার কথা ভেবে ডিপিডিসির উধ্বঃতন কর্মকর্তারা খুঁটি সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন। ৩ বার সরাতে গিয়েও ঐ প্রভাবশালী ও তার লোকজনের বাধাঁয় তা সরাতে পারেনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানান,পূর্ব ইসদাইর রসূলবাগ তিন রাস্তার মোড়ে ট্রান্সফরমার বসানো হলে যানবাহনের ধাক্কায় যে কোন বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে ব্যপক প্রানহানির ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই দ্রুত খুঁটিটি সরিয়ে নিতে ডিপিডিসির প্রতি জোর দাবী জানান।
আপনার মতামত লিখুন........