আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃ ইসলাম হচ্ছে শান্তির ধর্ম। শান্তির বানীর মাধ্যমে একে অপরের বিপদে পাশে থাকা এবং মহান প্রতিপালকের সন্তুষ্টির জন্য এবাদত খানায় সালাত আদায়ের মাধ্যমে মৃত্যুর পরের জীবনের শান্তির প্রার্থনা করা হয় মসজিদে। আল্লাহর ঘর এবং মহান প্রতিপালককে সন্তুষ্টির মাধ্যমে মৃত্যু পরবর্তী জীবনের কথা চিন্তা করে শান্তিতে বসবাস এবং এক মুসলমান ভাই অপর মুসলমান ভাইয়ের সুযোগ সুবিধার খোঁজখবর রাখাই হচ্ছে ইসলামের মূল নীতি। আল্লাহর ঘর স্থানীয় মুসল্লিদের স্বার্থ এবং আল্লাহকে সন্তুষ্ঠি করার জন্য নিয়ম নীতির মধ্য দিয়ে পরিচালনা করার জন্য একটি মসজিদ কমিটির খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। দীর্ঘদীন ধরেই যোগ্য ন্যায় এবং নিষ্ঠাবান মানুষের নেতৃত্বেই মসজিদগুলো নিয়ন্ত্রত হয়ে আসছে। তারপরেও আবু জাহেলের বংশের ন্যায় কিছু দুষ্কৃতিকারী স্বার্থন্বেষীমহল শান্তিময় বিরাজকে অপছন্দ করে থাকেন। তাদের কাজই হচ্ছে কিভাবে শান্তি বিনষ্ট করা যায়। শয়তানের প্ররোচনায় পরে শান্তি বিনষ্ট করার জন্য উঠে পড়ে লেগে থাকে সেই জাহেলের বংশধরের ন্যায় বর্তমান কিছু কুরুচিপূর্ণ এবং স্বার্থন্বেষীমহল। এই স্বার্থন্বেষী মহলের কাজই হচ্ছে শান্তি বিনষ্ট করা। এমনই এক নগ্ন খেলায় মেতে উঠেছে ফতুল্লার তক্কারমাঠ সেহাচর এলাকায় অবস্থিত বায়তুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা পরিষদের কমিটি নিয়ে। শুরু হয়েছে কিছু বহিরাগত লোকজনের স্বার্থ হাছিলের রাজনীতি। দ্বন্ধ বিবাদ সৃষ্টির মাধ্যমে আল্লাহর পবিত্র ঘরকে অপবিত্র করার মিশনে নেমেছে চক্রটি। উক্ত মসজিদ নতুন কমিটি নিয়ে স্থানীয় মুসল্লি এবং সাধারন মানুষদের মধ্যে কোন অভিযোগ কিংবা বিতর্ক না থাকলেও বহিরাগত কিছু আবু জহেলের প্রেতœাতারা উক্ত মসজিদ দখল নিতে পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন সাধারন মুসল্লিরা।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও মসজিদের মুসল্লিরা জানান, তক্কার মাঠ এলাকার বায়তুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সভাপতি ছিলেন আব্দুল মজিদ গাজী। বছর খানেক হয়েছে তিনি মারা গেছেন। পরে সিনিয়র সহ-সভাপতি সানোয়ার হোসেন জুয়েলকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হলে তিনি সৎ ও নিষ্টার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বিএম কামরুজ্জামান আবুল। অদ্যবদি মসজিদ কমিটির সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদকের চেয়েও ভালো ও যোগ্য ব্যাক্তি সনাক্ত করতে না পারায় সাধারন মুসল্লিদের মতামতের ভিত্তিতে গত শনিবার সভাপতি হিসেবে সানোয়ার হোসেন জুয়েলও সধারণ সম্পাদক বিএম কামরুজ্জামান আবুলকে সমর্থন করে কমিটি ঘোষনা করি। জুয়েলকে নিয়ে যারা বিতর্ক সৃষ্টি করেছে তারা এলাকার কিংবা মসজিদের কোন উন্নয়ন চান না। সৎ এবং নিষ্টাবান মানুষের মাধ্যমে মসজিদ কমিটি পরিচালিত হবে এটা ষড়যন্ত্রকারীরা মেনে নিতে পারছেন না। আর জুয়েলের নেতৃত্বে কমিটি নিয়ন্ত্রত হলে কারো তাবেদারি চলবে না এমনটা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না অপপ্রচারকারীরা। তাই জুয়েলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গনমাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় কুৎসা রটাচ্ছে। যা কিনা সর্ম্পর্ণ বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন ।
আপনার মতামত লিখুন........