আলোকিত নারায়ণগঞ্জ:নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি নির্মাণাধীন মসজিদের নিচ তলায় মার্কেট নির্মাণের পক্ষে বিপক্ষে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
মার্কেট নির্মাণের বিপক্ষের গ্রুপ শনিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মসজিদের সামনে প্রায় এক হাজার লোক নিয়ে বিক্ষোভ ও সভা করেন। অপরদিকে মসজিদের পিছনে মার্কেট নির্মাণের পক্ষের গ্রুপ কয়েকশ লোক নিয়ে সভা করে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, উভয় গ্রুপই শক্তিশালী। যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে হতে পারে। এতে অনেক হতাহত হবে।
ফতুল্লার পাগলা শাহীমহল্লা কবরস্থান মসজিদে মার্কেট নির্মাণ নিয়ে এ উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে মার্কেট নির্মাণের পক্ষে মসজিদ কমিটির সভাপতি কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হাওলাদার, মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন। অপরদিকে মার্কেট নির্মাণের বিপক্ষে কুতুবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর হোসেন মিরু, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক।
মসজিদ কমিটির সভাপতি আলাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, পুরনো মসজিদের বাহিরে দেয়াল ঘেষে আগে ৪টি দোকান ঘর ছিল। এখন পুরনো ভবন ভেঙ্গে বহুতল মসজিদ নির্মাণের কাজ চলছে। মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগের মতই মসজিদের বাহিরের অংশে একটি করে ৮টি দোকান ঘর তৈরি করা হবে। এসব দোকান মসজিদের ভিতরে নয় এবং মার্কেটও নয়, শুধু বাহিরে হবে সিঙ্গেল কক্ষ বিশিষ্ট। আমাদের এই মসজিদের নির্মাণ কাজে যারা বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে তারা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনে অভিযোগ করব।
মার্কেট নির্মাণের বিপক্ষে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেয়া মীর হোসেন মীরু বলেন, নির্মাণাধীন মসজিদের নিচে শতাধিক কবর রয়েছে। সেই কবরের ওপর মসজিদটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে আমরা কোনো প্রতিবাদ করিনি। যখন শুনেছি উপরে মসজিদ করবে, নিচে মার্কেট করবে তখন আমরা এলাকাবাসী হিসেবে প্রতিবাদ জানিয়েছি। কারণ মার্কেটে নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন ধরনের লোকজন যাতায়াত করবে। পবিত্র স্থানে এভাবে অবাধ যাতায়াত করতে আমরা দেব না।
এ বিষয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু বলেন, উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। আশা করি সমাধান হবে।
আপনার মতামত লিখুন........