নিজস্ব প্রতিবেদক: ফতুল্লায় তিন লাখ টাকা যৌতুকের দাবীতে স্ত্রী রিতা আক্তার(২৫) কে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী ও পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে পুলিশ নির্যাতিত গৃহবধূর শ্বাশুড়ি তাহমিনা ইসলাম সেলি(৫৫) ও খালা শ্বাশুড়ি সুব্রা(৪০) কে গ্রেফতার করেছে।
এর আগে নির্যাতিত গৃহবধূ বাদী হয়ে স্বামী রাফসান সাদ(৩০),শ্বাশুড়ি তাহমিনা ইসলাম সেলি ও খালা শ্বাশুড়ি সুব্রা কে অভিযুক্ত করে যৌতুকের দাবীতে তাকে মারধর করার অভিযোগ এনে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার কুতুবপুর ইউনিয়নের ভুইঘর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতিত গৃহবধূ রিতা আক্তার মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী থানার পাঁচ গাও গ্রামের আব্দুল গফুর মোল্লার মেয়ে।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয় ২০১৫ সালের ২৯ এপ্রিল পারিবারিক সম্মতিক্রমে ফতুল্লা থানার ভুইঘর সরদারবাড়ীর মোঃ তোফায়েল আহম্মেদ লিটনের পুত্র রাফসান সাদের সাথে বাদীর বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নগদ ৫০ হাজার টাকা স্বর্নালংকার সহ প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকার আসবাব পত্র প্রদান করা হয়। তাদের সংসারে সাবাব(৬) ও আব্দুল্লা(১) নামক দুটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবীতে তাকে শারিরীক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিলো স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তাদের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে এবং নিজের সুখের কথা চিন্তা করে বাদী তার পিত্রালয় হতে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এনে দেয়। পরবর্তীতে আরো তিন লক্ষাধিক টাকা বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে আসার জন্য বাদীকে চাপ প্রয়োগ করে।বাদী তাদের দাবীকৃত টাকা এনে দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সোমবার(৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে দশটার দিকে বাদীর স্বামী বাদীকে বেদম প্রহার সহ হাতে থাকা ছুরি দিয়ে চোখের উপরি ভাগে আঘাত করে। এ সময় গ্রেফতারকৃতরা বাদীকে গালমন্দ করে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক তরিকুল জানান,মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে শ্বাশুড়ি তাহমিনা ইসলাম সেলি ও খালা শ্বাশুড়ি সুব্রা কে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার অপর আসামী কে গ্রেফতারের চেস্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
আপনার মতামত লিখুন........