আলোকিত নারায়ণগঞ্জ: ‘চাঁদামুক্ত সড়ক চাই’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আজিজুল গংদের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে অটোরিক্সা-ইজিবাইকের মালিক ও চালকরা। রবিবার ৬ অক্টোবর সকাল ১১টায় ফতুল্লা থানার সামনে অট্রা মালিক শ্রমিক শ্রমজীবি সমবায় লিঃ (রেজি নং- ০০১৪) এর ব্যানারে এ মানববন্ধন করে। মানববন্ধনের পরে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা ও ইজিবাইক এর সকল মালিকের পক্ষে মোঃ শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আজিজুল সহ ১১জনকে বিবাদী করে ফতুল্লা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। আজিজুল শ্রমিক লীগ নেতা কাউছার আহমেদ পলাশের অনুসারি।ইজিবাইক চালক ও মালিকরা জানান, ইজিবাইক মালিক ও চালকদের কল্যাণের নামে অবৈধভাবে প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা চাঁদাবাজি করে আজিজুল।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নারায়ণগঞ্জের সিংহাম খ্যাত পুলিশ সুপার থাকার পরও এই আজিজুল গংরা সড়কে চাঁদাবাজি করে। যা খুবই দুঃখজনক। ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা ও ইজিবাইক চালাতে হলে তাদের কাছ থেকে ৬৫০০ টাকা মূল্যের টোকেন নিতে হবে। নয়তো আমাদের ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা ও ইজিবাইক বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে থাকে। এই প্রস্তাবে রাজি না হলেও আমাদের উপর হামলা ও অটোরিক্সা ও ইজিবাইকের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে যায়। আমরা এই সকল চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের দাবি জানাই। এই আজিজুল গংদের এমন শাস্তি হওয়া যাতে করে সড়কে আর কেউ চাঁদাবাজি করার সাহস না পায়।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, গরীবের হক ছিনিয়ে নেওয়ার অধিকার কারো নেই। কিন্তু এই চাঁদাবাজ আজিজুল দীর্ঘদিন ধরে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা ও ইজিবাইকে চাঁদাবাজি করে আসছে। আমরা বিগত সময়ে বিভিন্ন নেতাকর্মীর নিকট ও থানায় অভিযোগ করেও এই চাঁদা থেকে রেহাই পাইনি। এসপি সাহেবের সাহসী কার্যক্রম দেখে আমরাও নিজেদের মধ্যে সাহস-ভরসা পেয়েছি। তাই সিংহাম খ্যাত এসপি সাহেবের নিকট আমাদের অনুরোধ আপনি দয়া করে আমাদের চাঁদাবাজ আজিজুল গংদের চাঁদাবাজি থেকে মুক্তি দিন। যদি চাঁদাবাজ আজিজুল গংদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া তাহলে অনশন-ধর্মঘটের ডাক দিবো।
উল্লেখ্য,ফতুল্লার প্রতিটি এলাকা থেকে অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে দরিদ্র ইজিবাইক চালকদের কাছ থেকে দৈনিক ও মাসে চাঁদা আদায় করে আজিজুল।গত বছরে ৪ জুন ইজিবাইক ও রিকশায় চাঁদাবাজি করার সময় পুলিশের ধাওয়ায় আজিজুল পালিয়ে গেলেও তার ৪ সহযোগীকে চাঁদাবাজির টাকা ও চাঁদা আদায়ের রসিদসহ গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আজিজুল ও তার ১০ সহযোগীর বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে চাঁদাবাজির মামলা করে। পরে গত বছর (১৪ জুন) ৯ জনকে সাক্ষী দেখিয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন........