আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃফতুল্লায় গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডাবের দাম। আকারভেদে প্রতি পিস ডাব ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। ভ্যাপসা গরমে পোক্ত একটি ডাবের পানিতে চুমুক দিতে গেলেই গুনতে হচ্ছে ৭০/৮০ টাকা। হঠাৎ বেড়েছে ডাবের দাম।
‘অন্যান্য বছর এসময় ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে থাকতো ডাবের দাম কিন্তু এখন সর্বনিম্ন দাম ৭০ টাকা। মান যদি খুব ভালো হয়, তাহলে ৮০/৯০ টাকা । সাধারণ মানের ডাব ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, গরমে ডাবের চাহিদা অনেক বেশি। ডাবের সরবরাহ কম। যে কারণে বাজারে ডাবের দাম চড়া।
৯ সেপ্টেম্বর ফতুল্লা রেলষ্টেশন বাজার গিয়ে দেখা গেছে, বড় আকারের একটি ডাব ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই আকৃতির একটি ডাবে এক থেকে দেড় গ্লাস পানি হবে। অপেক্ষাকৃত একটু ছোট ডাব বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। বাজারে এখন ৭০ টাকার নিচে কোনও ডাব নেই।
ফতুল্লা রেলওয়ে ষ্টেশনে,ফতুল্লা বাস ষ্ট্যান্ডে, পঞ্চবটি মোড়ের সামনে ডাব বিক্রি হচ্ছে। আকারে ছোট দামের কথা জিজ্ঞেস করতেই ডাব ব্যবসায়ীক হেমায়েত বলে উঠলেন, একদাম ৭০ টাকা! ডাবে কতটুকু পানি হতে পারে তার ঠিক নাই। এক গ্লাস বা দেড় ক্লাসও হতে পারে।
তার পাশের আরেক ডাব বিক্রেতা কিছুটা ঠাট্টা করে বলেন, এখনও কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে না। আর দুই দিন গেলে ডাবও হয়তো বা কেজি দরে বিক্রি হতে পারে। তরমুজ-আনারস যদি কেজি দরে বিক্রি হয় তাহলে ডাব কী দোষ করেছে?
ডাবের ডাম বেশি চাওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, গরমের কারণে বাজারে ডাবের চাহিদা অনেক বেশি। কিন্তু আমদানী কম। যা পাওয়া যায় তাও বেশি দামে কিনে আনতে হয়। সে কারণে দাম একটু বেশি।
দীর্ঘদিন ধরে ফতুল্লা বাজার থেকে নিয়মিত ডাব কেনেন আব্দুল আলিম লিটন। তিনি বলেন, ‘কোনো প্রয়োজনীয় খাবারের দাম যদি হঠাৎ করে দ্বিগুণ হয়ে যায় তাহলে খুব সমস্যা। এত দামে কখনো ডাব কিনতে হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন........