ফতুল্লা প্রতিনিধি: দুপক্ষের মারামারিতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে ভোট নেওয়ার সময় সম্মেলন স্থগিতের ঘোষণা দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল।
তিনি বলেন, “দুপুর থেকে সম্মেলন সুন্দরভাবেই চলছিল। মাগরিবের নামাজ পড়ে এসে দেখি, চেয়ারে বসা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে হট্টগোল চলছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় সম্মেলন স্থগিতের ঘোষণা দিই।”
ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের অধীনে বক্তাবলী ইউনিয়নের কমিটি।
পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে থানা আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান বাদল।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, ১৮ বছর পর বক্তাবলী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতি পদে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক মাহমুদ ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল হোসেন প্রার্থী ছিলেন।
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, ফতুল্লা থানা যুবলীগের যুগ্ম-সম্পাদক আনোয়ার হোসেন এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল মিয়া।
দুপুর আড়াইটায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল। বিশেষ অতিথি ছিলেন থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী। তিনি এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানও।
সম্মেলনে উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাংবাদিকরা জানান, চেয়ারে বসা নিয়ে প্রথমে কর্মীদের মধ্যে হৈচৈ হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে দুই সভাপতি প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। উভয়পক্ষের লোকজন হট্টগোল শুরু করে দেন। এক পর্যায়ে তারা জেলা ও থানা আওয়ামী লীগের নেতাদের উপস্থিতিতেই চেয়ার ছোড়াছুড়িতে জড়িয়ে পড়েন।
সম্মেলন স্থগিত ঘোষণার পর শওকত আলী সাংবাদিকদের বলেন, “অবৈধ প্রভাব বিস্তারের জন্য সুন্দর একটি সম্মেলনকে বিঘ্নিত করা হলো। সংঘর্ষ এড়াতে জেলার সাধারণ সম্পাদক সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করেন। এটি শামীম ওসমানের নির্বাচনী এলাকা। আমরা সংসদ সদস্যের সঙ্গে পরামর্শ করবো। ওনার পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।
আপনার মতামত লিখুন........