আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : থানায় লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয়দের জানানোর ৬ দিন অতিবাহিত হলেও কোন সমাধান পাচ্ছে না নিরীহ আনোয়ারা বেগম। উল্টো আরো নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে পরিবারটি। মহানগর জাতীয় পার্টির নেতা ও সদ্য নির্বাচিত বন্দর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানুর নাম ভাঙ্গিয়ে শুক্রবার বাদ জুম্মা ভূমি খেকোরা আনোয়ারা বেগমের বাড়িতে গিয়ে জায়গা দখলসহ মহিলা মারধরের চেষ্টা করে।
সানাউল্লাহ সানু ভাইকে (উড়োজাহাজ) প্রতীকে তোরা ভোট দেছ নাই, কিভাবে এ জায়গায় থাকবি তা দেখে দিব বলে ভূমিখেকো কবির হাজী ও জাকির হাজী ও শাহজাহান ও সুমনরা বলে। নির্বাচিত হয়ে শপথ নেয়ার পূর্বেই সানাউল্লাহ সানুর নাম ভাঙ্গিয়ে নীরিহ লোকদের উপর এমন অত্যাচার ও বাড়ি দখলের মত ন্যাক্কার জনক ঘটনাকে ভাল দৃষ্টিতে দেখছে না সচেতন মহল। ২১ জুন বাদ জুম্মা ভূমি দস্যু কবির হাজী, জাকির হাজী, শাহজাহান ও সমুনসহ ১০/১২ জনের একটি সংঘবন্ধ চক্র নীরহ আনোয়ারা বেগমের বাড়িতে যায় এবং নানাভাবে হুমকি দিয়ে থাকে।
নিরীহ আনোয়ারা বেগম বলেন, তারা জুম্মার পর আমার বাড়িতে এসেই বলে থানায় অভিযোগ করে কি হবে। তোরা উড়োজাহাজে ভোট দেছ নায়। এখন বুঝবি। দেখি তোদের কে রক্ষা করে। নির্বাচনের ৪ দিন না যেতেই সানাউল্লাহ সানুর নাম ভাঙ্গিয়ে বুরন্দীর কবির হাজী ও জাকির হাজী, শাহজাহান ও সুমনরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানুর মোবাইল নাম্বারের ফোন দিলে তিনি জানান, এমন কোন কিছু কেউ করলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না। আমি বিষয়টি দেখে অব্যশই ব্যবস্থা নিব।
ভাইস চেয়ারম্যান সানুর নাম ভাঙ্গিয়ে বন্দরের বুরন্দী এলাকায় ওয়ারিশ ও ক্রয়কৃত ৬৮ শতাংশ জায়গা দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় ভূমিদূস্যু কবির হাজী, জাকির হাজী, সুমন গং। থানায় অভিযোগ ও স্থানীয়দের জানিয়ে আরো বিপাকে পড়েছে আনোয়ারার পরিবার। বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বুরুন্দী এলাকায় ভূমি দূস্যুদের নানা মুখি অত্যাচারে পরিবারের লোকদের নিয়ে বসবাস হুমকী মুখে আনোয়ারা বেগমসহ তার পরিবার। পিয়ার জাহানের ওয়ারিশ ও ক্রয়কৃত ৬৮ শতাংশ জায়গা জোড় পূর্বকভাবে দখলের নানা মুখি চেষ্টা করছে একই এলাকার জাকির হাজীরা।
৩ বছর পূর্বে জায়াগার মধ্যে দেয়াল দিলেও গত ১৫ জুন রাতে বুরুন্দী এলাকার জমসর আলীর ছেলে জাকির হাজী, মনসুর আলীর ছেলে শারজাহান, আলী হোসেনের ছেলে কবির হাজী মিলে ১৫ জুন গভীর রাতে ভেকু দিয়ে দেয়াল ভাংচুর পূর্বক প্রায় ৮০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। ভাংচুরের সময় পিয়ার জাহানের পরিবারের লোকজন বাধা দিলে তাদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দসহ প্রান নাশের হুমকী দেয়। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তাসহ সঠিক বিচারের জন্য আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে বন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের প্রক্ষিতে বন্দর থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক আবু তালেব ঘটনাস্থলে যান ও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন........