আলোকিত নারায়ণগঞ্জ ২৪ ডট নেট : বন্দর উপজেলার লক্ষনখোলা চৌরাপাড়া এলাকায় ভাবি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় গুরুতর জখম হয়েছে দেবর আরিফ হোসেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১২ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯ ঘটিকার সময় বাদীর বাড়িতে।
স্বজনরা আশংকাজনক অবস্থায় আরিফকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নেয়া হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার আরিফের অবস্থা খারাপ হলে শহরের মুক্তি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।
জানা যায়, বন্দর লক্ষনখোলা চৌরাপাড়া এলাকার মোঃ শরীফের স্ত্রী লেডি সন্ত্রাসী মিতু আক্তারের সাথে তারই আপন দেবর গোলজার হোসেনের পুত্র আলমগীরের সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে তর্কবির্তক হয়। এক পর্যায়ে ভাবী শরীফ মিয়ার স্ত্রী মিতু আক্তার তার বাবার বাড়িতে ফোন করে সন্ত্রাসী দাসেরগাঁও এলাকার আব্দুল মালেকের পুত্র মোঃ সবুজ ও মোঃ জুয়েল,মৃত আব্দুল ওহাবের পুত্র মোঃ সুমন সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে ঢেকে এনে আলমগীরকে বেদম মারধর করে।
ভাইকে বাচাঁতে আরিফ এগিয়ে এলে তাকে লেডি সন্ত্রাসী মিতু আক্তারসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বেদম পিটিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। যাবার সময় সন্ত্রাসীরা ১ লাখ ৩২ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
আরিফ অচেতন হয়ে পড়লে স্বজনরা আরিফকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান।
আরিফের স্ত্রী মিষ্টি আক্তার বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন।
বন্দর থানার সেকেন্ড অফিসার সাধন চন্দ্র বসাক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং মামলার ২নং আসামী মোঃ জুয়েলকে আটক করে কোর্টে সোর্পদ করেন।
অপর দিকে মামলা তুলে নিতে লেডি সন্ত্রাসী মিতু আক্তার মামলা তুলে হুমকি প্রদান করছে বলে জানান মামলার বাদী।
আপনার মতামত লিখুন........