আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দর ফুলহর এলাকায় রাস্তা নিয়ে বিরোধের জের ধরে একটি ব্যবসায়ি পরিবারের চলাচলের পথ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় ঐ ব্যবসায়ির ভাড়াটিয়ারও পড়েছে বিপাকে। ঘর থেকে বের হতে পারছেনা। এছাড়া রাস্তা বন্ধ করে নির্মাণ কাজ করায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছে তারা।
ভুক্তভোগী মো: জুয়েল এ ব্যাপারে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর ১ আগষ্ট ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত এস আই সিরাজুল ইসলাম ঘটনাস্থলে তদন্তে গিয়ে রাস্তা নিয়ে বিরোধের সত্যতা পেয়েছেন।
এস আই সিরাজুল ইসলাম সোমবার বিকেলে জানান, অভিযোগ তদন্তে গিয়ে বাদী মো: জুয়েল ও বিবাদি শওকত আলীর বক্তব্য শুনেছি। মো: জুয়েল বিবাদী শওকত আলীর নিকট থেকে জমি কিনেছেন । জুয়েলের দাবী জমি কেনার সময় রাস্তা দেয়ার কথা ছিল । কিন্ত এখন তা মানছেন না শওকত আলী। অন্যদিকে শওকত আলীর দাবী জমি কিনেছে ঠিকই কিন্ত দলিলে রাস্তা দেয়ার কথা উল্লেখ নেই। এটি নিয়ে সামাজিক ভাবে একবার বিচারে বসা হয়েছিল কোন সুরাহ হয়নি। আবারো সামাজিকভাবে বসার কথা আছে বলে জানান এসআই সিরাজ।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, শওকত আলী বিভিন্নজনের কাছ থেকে একই কায়দা জমি বিক্রি করে পরবর্তীতে রাস্তা নিয়ে বিরোধ তৈরী করে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটির ২৭নং ওয়ার্ড বন্দর ফুলহর এলাকার হোল্ডিং ১২৮/১ এর বাসিন্দা মো: জুয়েল সাড়ে ৩ শতাংশ জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করে ভাড়া দেন। মো: জুয়েল তার বাসার সামনে ৮ ফুট প্রশস্ত জায়গায় রাস্তার জন্য নিজে ৪ ফুট জমি ছেড়ে দেন।
মো: জুয়েলের অভিযোগ , বিবাদী মো: শওকত আলী ও তার পুত্র মো: জসিম মিয়া বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে। জুয়েল যাতে এখানে বসবাস করতে না পারে সেজন্য চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে। এবং ৮ফুট রাস্তার মধ্যে ৫ ফুট এবং বাড়ির সামনে ৪ ফুট জায়গা জোর পূর্বক দখল করে রাখে। বিবাদীরা রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় একরকম অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জুয়েলের বাড়ির ভাড়াটিয়ারা।
জুয়েলের আরো অভিযোগ, বিবাদীরা আদালত আদেশ মানছে না। এছাড়া,ভুমি অফিস, রাজউকসহ বিভিন্ন সংস্থা একাধিক তদন্তে তারা অভিযুক্ত প্রমানিত হলেও কারো কোন কথা না শুনে দখল করা জমিতে স্থাপনা নির্মান করছে।
তিনি আরো জানান, বিবাদীরা রাস্তা দখল করে এমন ভাবে তাদের স্থাপনা নির্মাণ করছে যাতে ভবিষ্যতে গ্যাসের কিংবা বিদ্যুতের কোন দুর্ঘটনা ঘটলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া স্থাপনা নির্মানের কারনে তিনি ও তার বাড়িতে বসবাসকারী লোকজন বের হতে পারবেনা।
জুয়েল আরো জানান, আমি কোন ধরনের ঝামেলা চাই না। বাড়ি করেছি শান্তিতে বসবাস করার জন্য। এখন শান্তি তো দুরের কথা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি চাই বিষয়টি যেন ন্যায় বিচারের মাধ্যমে সুষ্ঠ সমাধান হয়।
আপনার মতামত লিখুন........