নারায়ণগঞ্জশুক্রবার , ১৬ নভেম্বর ২০১৮
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

বন্দরে রেহেনার শেল্টারে মাদক বিক্রি

Alokito Narayanganj24
নভেম্বর ১৬, ২০১৮ ১১:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আলোকিত নারায়নগঞ্জ ২৪ ডট নেট : নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দরের সবচেয়ে চিহ্নিত মাদক বিক্রির স্থানে কৌশল পরিবর্তন করেছে বিক্রেতারা। তাদের কৌশলের কাছে অনেকটা অহসায় পুলিশের কৌশলগুলো। বন্দর থানা পুলিশের সোর্সের বিভিন্ন মাদক স্পট থেকে দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক ভাবে টাকা নেওয়ার অহরহ প্রমানসহ অভিযোগ রয়েছে।

তারপরও থানা প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা ও অভিযানের ফলে মাদক অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কৌশলগুলো লক্ষ করতে পারলে মাদক বিরোধী ঘোষনাগুলো সফল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বন্দর নাগরিক কমিটি ও মানবাধিকার কমিশন,মানবাধিকার সংস্থাসহ সুশীল সমাজ। প্রশাসনের হাতে একাধিকবার গ্রেফতারকৃত মাদক বিক্রেতারা তাদের কৌশলের পরিবর্তন করেছে। তারপরও পুলিশ প্রতিদিনই গ্রেফতার করছে মাদক বিক্রেতাদের। পুলিশের জালে যে সকল মাদক বিক্রেতারা আটক হচ্ছে তার অধিকাংশই মাদক ব্যবসায়ীই ফেরি করে মাদদ্রব্য বিক্রি করে। মূল হোতারা রয়েই যাচ্ছে ধরাছোয়ার বাহিরে।

সরজমিন ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেউলী এলাকার রেহেনা ওরফে গাঁজা সম্রাজ্ঞী বলে পরিচিত। স্বামী বা পিতার নামে তার পরিচয় বহন করে না। জনপ্রতিনিধিরা জনগনের ভোটে নির্বাচিত হলে সর্বস্থরের লোক সহজে চিনতে পারে।আর বন্দরের দেউলী এলাকার রেহেনা ও গাঁজা সম্রাজী রেহেনা বেগম। স্বামী গোলাপ হোসেন হলেও তার স্ত্রীর পরিচয় স্বামীর মাধ্যমে দেওয়ার বা জানার প্রয়োজন মনে করে না।

সম্প্রতি জেলা পুলিশ সুপার মাদকের গডফাদারদের নাম উল্লেখ্য করে ১৬ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করে। যার মধ্যে রেহেনা ৩নং তালিকাভুক্ত হলেও তাতে কি?? তালিকায় কি আসে যায়। চলছেই তার গাঁজা বিক্রি। তবে পাল্টিয়েছে ব্যবসার কৌশল। কাউকে খুছড়া না দিয়ে বৃদ্ধা মহিলা দিয়ে প্লাস্টিকের ব্যাগে করে ১/২ শ’ পুড়িয়া দিয়ে বাহিরে বিক্রি করাচ্ছে। ব্যাগের উপরে কাঁচা তরকারি বা বিভিন্ন প্রকার শাকসবজী দিয়ে রাখে। যা থানা প্রশাসনের দৃষ্টি গোচর হচ্ছে না। রেহেনার মাদক বিক্রির ভিন্ন প্রকারে কৌশলের কাছে প্রশাসনের কৌশলটা ব্যার্থ হচ্ছে। ভোর হতে ৭/৮ টার মধ্যে তার গাঁজা বিক্রি শেষ করে দেয়।

সুইপার কলোনীর ভিন্ন পন্থায় একরামপুর হরিজন সিটি কলোনীতে গত ২০ অক্টোবর ব্যানার সাটিয়ে মাদক বিক্রি না করার ঘোষনা দেন। আর এ ঘোষনাকে অনেকে সাধুবাদ জানালেও ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখছেন সুশীলসহ সচেতন মহল। এমনকি খোদ প্রশাসন বলছে এটা তাদের একটি নতুন কৌশল। ব্যানার সাটিয়ে মাদক বিক্রিকে না বললেও পূর্বের তুলনায় তাদের মাদক বিক্রির পরিমান দ্বিগুন হবে বলে জানা যায়।

সুইপার কলোনীতে টিটু লাল, রাখেশ, দিবা রানী, রমজান, ভুট্টু (রিক্সায় করে), সীমা রানী, রনি, রানা, আনোয়ার ওরফে আনার (রিক্সার মাধ্যমে), রাজা, আলী ও ওমর গাঁজা বিক্রি করছেই। তাদের প্রতিদিনের গাঁজা বিক্রির পরিমান, কৌশল, প্রবেশ পথ ও বিক্রির পন্থা এবং টাকার পরিমান আসছে। মদ বিক্রি করছে স্বাধীন লাল, অনিল, মাসুদ, সুভাষ লাল, মোহাম্মদ আলী, সবুর স্ত্রী, নাদিম স্বপন, রাজা ও তার স্ত্রী, মুন্নী, সেলিম, সেন্টু। সুইপারদের মদ সেবনের অনুমতি থাকলেও প্রতিদিন বিক্রি করছে প্রায় ১৫০/২০০ লিটার মদ। পরিসংখ্যানে বের হয়ে আসে প্রতিদিন ৫৬ হাজার টাকার, সপ্তাহে ৩ লাখ ৯২ হাজার ও মাসে প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকার মদ কলোনীতে বিক্রি হয় বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, বন্দর থানা পুলিশের বিচক্ষনতান কারনে এখন অনেকাংশে মাদক ব্যবসায়ীদের সংখ্যা হৃাস পেয়েছে। তারপরও থেমে নেই মাদক ব্যবসা। হরহামেশা ইয়াবা, ফেন্সিডিল, গাজা, মদ বিক্রি চলতে থাকলে আমাদের যুবসমাজ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। মাদক ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা নিরুপায় হয়ে উঠেছি।

এ অবস্থা থেকে পরিত্রান পেতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিতে বন্দর থানা উর্ধ্বতন কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!