আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃ বন্দরে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত শরীরে লবণ ছিটানো ও কম্বল দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে নবীগঞ্জ এলাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে লাশ রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্বামী আমিনুল ইসলামকে (৩০) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নিহত গৃহবধূর শান্তা আক্তার (২২) সোনারগাঁ উপজেলার বারদী এলাকার কলিমউল্লাহর মেয়ে। আটক আমিনুল ইসলাম বন্দর গালর্স স্কুলের পিটি শিক্ষক এবং নবীগঞ্জ এলাকার সুলতান মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া বলে জানা গেছে।
বন্দর থানার ওসি ফখরুদ্দীন ভূঁইয়া জানান, বন্দর গালর্স স্কুলের পিটি শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলাম তার স্ত্রীকে হত্যা করে শরীরে লবণ মাখিয়ে কম্বল পেঁচিয়ে লাশ ভাড়া বাসায় রেখে দেয়। মঙ্গলবার দুপুরে নিজেই স্ত্রীর লাশ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক লাশের মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান এবং লাশটি ২/৩ দিন আগের বলে সন্দেহ করেন। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশটি জরুরি বিভাগে রেখে আমিনুলকে আটক করে থানায় খবর দেয়।
ওসি আরো বলেন, পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। পরে সুরতহাল তৈরির পর লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। স্বামী আমিনুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত। হত্যার কারণ এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বলা যাবে কি কারণে হত্যা করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন........