আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীতে বিআইডব্লিউটিএর অবৈধভাবে স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে পক্ষ পাতিত্বের কথা বক্তাবলীবাসীর মুখে মুখে। নদী দখল করে স্থাপিত কনকর্ড তেলের পাম্প ও বুড়িগংঙ্গা তেলের পাম্প রহস্যজনক কারনে উচ্ছেদ না করায় নানান প্রশ্ন জন্ম দিয়েছে জনমনে। এমনকি উচ্ছেদকৃত প্রতিষ্ঠানের মালিকগন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকারী দলকে খাবারসহ নানা সহযোগিতা করছে বলে জানান এলাকাবাসী। এমনকি ঐ ২টি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও তাদের পক্ষের লোকজন সার্বক্ষনিক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকারীদের সাথেই ছিল।
একটি সূত্র হতে জানা যায়,গত রবিবার বিআইডব্লিউটিএর প্রথম দিনের উচ্ছেদ অভিযানের দুপুরের খাবার দিয়েছে নদী দখল করে স্থাপিত কনকর্ড তেলের পাম্পের মালিক বাদল। ৯৬ টি বিরিয়ানীর প্যাকেট সহ বিশেষ কিছু। যার ফলে ঐ তেলের পাম্পে হাত দেয়নি বিআইডব্লিউটিএর উচ্ছেদ কারী দলটি। শুধু এবার নয় যতবার উচ্ছেদ হয়েছে ততবার বিশেষ ব্যবস্থায় পার পেয়ে গেছে বাদলের তেলের পাম্প।
সোমবার বক্তাবলীতে বিআইডব্লিউটিএ ২য় দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান চালায়। এদিন ৮০/৯০ টি বিরিয়ানির প্যাকেটসহ বিশেষ ব্যবস্থা করে নদী দখল করে নির্মাণ করা বুড়িগঙ্গা তেলের পাম্পের মালিক আল আমিন ও সোহেল। এমনকি তারা উচ্ছেদ কারী দলের সাথে ছিল। তবে বুড়িগঙ্গা তেলের পাম্পের সামনে নদীতে দেয়া বাঁশের আলগাড়া উচ্ছেদ করলেও মূল ভবনে হাত দেয়নি। এছাড়া অন্যান্য স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
বুড়িগংঙ্গা তেলের পাম্পের মালিক আল-আমিন সাংবাদিকদের বলেন, আমি খাবার দিছি তাতে কি হইছে।
উল্লেখিত ২টি প্রতিষ্ঠান রহস্যজনক কারনে উচ্ছেদ না করায় চলছে গুঞ্জন।
উচ্ছেদ অভিযানে আপ্যায়ন এ বিষয়ে জেলা জর্জ কোর্টের একজন আইনজীবির কাছে জানতে চাইলে তিনি আলোকিত নারায়ণগঞ্জ’কে বলেন, উচ্ছেদ অভিযানে যারা অংশ নেবে সেক্ষেত্রে তারা কোন পক্ষের কাছ থেকে খাবার কিংবা অর্থ নিতে পারেনা। নিতে কোনটাই তারা সংগ্রহ করে থাকে সেক্ষেত্রে বুঝতে হবে উচ্ছেদকারী দল একটি পক্ষে কাজ করছে।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএর উপ পরিচালক মোঃ গোলজার হোসেনের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি তা রিসিভ করেনি।
আপনার মতামত লিখুন........