আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ভূঁইগড় পুরান বাজার এলাকার সালাম গংদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এক অসহায় পরিবার। বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় ওই পরিবারের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায় ও ৮ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় সালাম গংরা। পরে আলাল আহম্মেদ নামের এক ব্যাক্তি বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ নং- ১০৮৫। মোঃ আলাল আহম্মেদ বাদী হয়ে ভূঁইগড় পুরান বাজার এলাকার মৃত. আনোয়ার আলীর ছেলে সালাম মিয়া (৪৫), মোঃ বারেক মিয়া (৪০), সালাম মিয়ার ছেলে শান্ত মিয়া (২২), আন্নাস মিয়ার ছেলে সাদ্দাম (২০), শামীম মিয়ার স্ত্রী রুবিনা (৩২) সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। মোঃ আলাল আহম্মেদ অভিযোগের বরাত দিয়ে জানান, আমি ও সালাম মিয়ার ভাতিজি রাত্রি মনি (২১) পরস্পর প্রেম করে ৬ মাস আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। আমাদের বিবাহের পর হতে উল্লেখিত বিবাদীরা আমার ও আমার স্ত্রীর সহিত শত্রুতা পোষন করে আমাদেরকে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদান করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা অনুমান ৭টার সময় উল্লেখিত বিবাদীগন সহ তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনী জনতাবদ্ধে অনাধিকারে আমাদের বাড়ীর ভিতর প্রবেশ করে আমাকে সহ আমার স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমি সহ আমার স্ত্রী রাত্রি মনি প্রতিবাদ করলে বিবাদীগন আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে সালাম মিয়া ও বারেক মিয়া আমাকে এলোপাতাড়ী কিল, ঘুষি, লাথি মেরে আমার মুখ মন্ডল সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা-ফুলা রক্ত জমাট জখম করে। আমার স্ত্রী রাত্রি মনি আমাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে বিবাদী শান্ত মিয়া আমার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ী কিল, ঘুষি মেরে বুকে পিঠে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। আমার ও আমার স্ত্রীর ডাক চিৎকারে আমার মা নাজমা বেগম, ছোট বোন নুরনাহার, জোনাকি (২০) এগিয়ে আসলে বারেক মিয়া ও শান্ত মিয়া আমার ছোট বোন নুরনাহারের মাথার চুল ধরে টানা হেচড়া করে। এলোপাতাড়ী কিল, ঘুষি ও তলপেটে লাথি মারে। আমার ছোট বোন নুরনাহার গর্ভবতী হওয়ায় গুরুত্বর জখম প্রাপ্ত হয়। বারেক মিয়া, শান্ত মিয়া ও সাদ্দাম আমার অপর ছোট বোন জোনাকিকে এলোপাতাড়ী মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা-ফুলা জখম করে এবং পরনের কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করে। বিবাদীগণ আমার বৃদ্ধা মাতা নাজমা বেগমকে এলোপাতাড়ী কিল, ঘুষি ও লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা-ফুলা গুরুত্বর জখম করে। শান্ত মিয়া আমার বোন জোনাকির গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের পঁচিশ হাজার টাকা মূল্যের ১টি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। আমাদের ডাক চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা আমাদের বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি ও জীবন নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে আমি সহ আমার স্ত্রী, মাতা নাজমা বেগম, বোন নুরুনাহার ও জোনাকি স্থানীয় লোকজনের সহয়তায় খাঁনপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহন করি। আমার মা বর্তমানে খানপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ বিষয়ে মোঃ আলাল আহম্মেদ সহ তার পরিবার থানা পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আপনার মতামত লিখুন........