আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : মসজিদ সংস্কারে আসা মিস্ত্রীসহ দুই সহযোগিকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন দেওভোগ আদর্শনগর জামে মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত মিস্ত্রী মাহবুব হোসেন বাবু (৩৩), তার বন্ধু মোঃ শামীম (৩৬) ও ছোট ভাই সোহাগ (২৮)কে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম রয়েছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আহত মিস্ত্রী মাহবুব হোসেন বাবু। তিনি দেওভোগ নুর মসজিদ এলাকার মোঃ শাহাবুদ্দিন এর ছেলে।
অভিযুক্তরা হল- পশ্চিম দেওভোগ আর্দশ নগর এলাকার ফরহাদ (৩৪), একই এলাকার রামু মিয়ার ছেলে সোহাগ, রবিন (২৪) ও দিপু (২৪) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন।
আহত মিস্ত্রী বাবু থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে বলেন, শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে আর্দশ নগর জামে মসজিদে সাউন্ড বক্সের স্পিকার লাগাতে যাই। এসময় মসজিদের দেয়ালে স্পিকার লাগানোর জন্য ড্রিল মিশিন দিয়ে কাজ করি। তখন ড্রিল মেশিনের শব্দ হওয়ায় কারণে মসজিদের পাশের বাড়ি থেকে অভিযুক্ত ফরহাদ এসে আমাকে কাজ বন্ধ করতে বলে এবং গালিগালাজ করিতে থাকে। আমি গালাগালি করতে নিষেধ করায় ফরহাদ তার সহযোগী সোহাগ, রবিন ও দিপুকে ডেকে এনে মসজিদে প্রবেশ করে আমাকে এলোপাথারী মারধর করে আহত করে। ডাক-চিৎকার শুনে মসজিদ কমিটির লোকজন এসে আমাকে রক্ষা করে। বিষয়টি আমি আমার চোট ভাই সোহাগ ও বন্ধু শামীমকে ফোনের মাধ্যমে জানালে, তারা মসজিদে এসে আমাকে আহতাবস্থায় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার সময় অভিযুক্তরা পনূরায় আমাদের পথরোধ করে। এরপর তারা লোহার রড ও লাঠি-সোটা নিয়ে আমাকে সহ আমার বন্ধু ও ছোট ভাইকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যায়। অতঃপর স্থানীয় লোকজন আমাদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, ঘটনার বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন........