নিজস্ব সংবাদদাতা : থানায় এসে স্ত্রীর আর্তনাতে পুলিশ অপহৃত স্বামীকে অপহরণকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে। ১৯ জানুয়ারি শনিবার দুপুরে ফতুল্লা লামাপাড়া দরগার বাড়ি মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে সকালে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপনের দাবীতে ব্যবসায়ী বিমল সরকারকে অপহরন করে নিয়ে যায় অপহরনকারীরা এ ঘটনায় স্ত্রী মনি রানী অপহরণকারী মুরাদ, আল-আমিন, সুজন, সুজয়সহ ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ব্যবসায়ী বিমল সরকার সস্তাপুর এলাকায় রাজ্জাক মিয়ার বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া ভাড়া থাকেন। সে গামের্ন্টসে তৈরি পোষাক ক্রয় বিক্রিয়ের ব্যাবসা করেন।
মনি রানী জানান, ১৯ জানুয়ারি শনিবার সকাল ১০ টায় তার স্বামী বিমল সরকার লামাপাড়া লিডিং চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনার স্কুলে তাদের দুই সন্তানকে দিয়ে বাড়িতে আসার সময় ওই এলাকার মুরাদ, আল-আমিন, সুজন, সুজয়সহ ৪/৫ জন বিমল সরকারকে পথরোধ করে জোড় পূর্বক অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। তারা আমার স্বামীকে মারধর করে ফোন দিয়ে আমাকে কান্নার আওয়াজ শুনায় এবং ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবী করে। তাদের ঠিকানা মত লামাপাড়া দরগাবাড়ি জামে মসজিদের সামনে গেলে অপহরণকারীরা আমাকে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি তারা আমার স্বামীকে দাড়ালো ছুরি দিয়ে মুক্তিপনের দাবীতে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় বিবাদীরা স্বামীর সাথে থাকা নগত ২০ হাজার টাকা জোড় করে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তখন তারা দাবীকৃত ৬০ হাজার টাকা নিয়া আসিতে বলে না আনলে আমার স্বামীকে তারা প্রানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। তখন আমি কোন উপায়ন্তর না পাইয়া ফতুল্লা মডেল থানায় আসিয়া বিষয়টি জানালে পুলিশ গিয়ে আমার স্বামীকে অপহরণকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার করে। পরে খাঁনপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করি।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক রঞ্জন ঠাকুর জানান, অপহরণের ঘটনা সত্যি। ঘটনাস্থল গিয়ে অপহরণকারীদের কাছ থেকে বিমল সরকারকে উদ্ধার করি। এসময় অপহরণকারীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
আপনার মতামত লিখুন........