আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : স্বাধীনতা ৪৭ বছর পর বক্তাবলী ইউনিয়ন শতভাগ রাজাকার মুক্ত হলো। ১৯৭১ সালের ২৬ মে পাক হানাদার বাহিনীর দোসরদের সহযোগিতা করার লক্ষে বক্তাবলী ইউনিয়নে ৩৩ জন লোক নিয়ে শান্তি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির সদস্যরা পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা করে এলাকার মুক্তি যোদ্ধা সহ সাধারণ মানুষকে হত্যা,যুবতী মেয়েদের ধর্ষণ, লুটপাট করতো বলে জানান এলাকাবাসী। আলোকিত নারায়ণগঞ্জ ২৪ ডট নেট এর হাতে ৩৩ জন রাজাকারদের তালিকা হাতে এসেছে।
উল্লেখিত রাজাকারদের সবাই স্বাভাবিক মৃত্যু বরন করেছেন। কয়েক মাস আগে রাজাপুর এলাকার বাসিন্দা তালিকার ৮ নং রাজাকার ওয়ারিশ সরদারের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বক্তাবলী ইউনিয়ন পুরোপুরি রাজাকার মুক্ত হলেও রেখে গেছেন বিপুল সংখ্যক বংশধর। দেশ স্বাধীন হবার পর এই ৩৩ জন শান্তি কমিটির সদস্য অর্থাৎ রাজাকাররা বক্তাবলী ইউনিয়ন শাসন- শোষন করেছেন। কেউ হয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান, স্কুল,মাদ্রাসার শিক্ষক, সমাজ প্রধান ।
এ কমিটির প্রধান অর্থাৎ সভাপতি ছিলেন লক্ষীনগর গ্রামের হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ।সহ সভাপতি কানাইনগর গ্রামের মেছবাহুল বারী। যিনি কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা।এলাকায় দানবীর হিসেবে পরিচিত ছিলেন। আরেক সহ সভাপতি ছিলেন আশাদউল্লাহ মুন্সি, সাধারণ সম্পাদক রামনগর গ্রামের এ কে সিদ্দিকুর রহমান, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক লক্ষীনগর গ্রামের নুর ইসলাম খান,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজাপুর গ্রামের নুরুল হক মোল্লা,সদস্য ছিলেন আব্দুল মালেক, রাজাপুর গ্রামের ওয়ারিশ সরদার,বক্তাবলী গ্রামের রমিজুদ্দিন আহম্মেদ, রামনগরের সোনা মিয়া সরদার,আব্দুর রহিম,লক্ষীনগরের খলিল মাতাব্বর,রাধানগরের দুদু মিয়া,রাজাপুরের হযরত আলী সরদার,বক্তাবলীর শহিদ আলী মীর,গঙ্গানগরের ইলিয়াস মোল্লা,কালু মুন্সি, লক্ষীনগরের আজগর আলী মিয়া,বক্তাবলীর শহর আলী মিয়া,লক্ষীনগরের সোলেমান খান ও মিন্নত আলী মাতাব্বর,কানাইনগরের কাশেম আলী খলিফা,আব্দুল করিম বেপারী, রাধানগরের জাহিদ আলী মাতাব্বর,লক্ষীনগরের সাইজুদ্দিন মিয়া,মধ্যনগরের আলী হোসেন শিকদার,মুক্তারকান্দির মহিজউদ্দিন সরদার,হাজ্বী আব্দুল হাকিম,বক্তাবলীর মোহাম্মদ আলী মাতাব্বর,জাকির হোসেন,বক্তাবলীর আবিদ আলী ও রাধানগরের জাহিদ আলী আরদ্দার প্রমুখ।
উল্লেখিত রাজাকার দের বংশধরদের কেউ কেউ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত সহ রাজনৈতিক দলগুলোর অংঙ্গ সংগঠনের রাজনীতির সাথে জড়িত। আবার অনেকে মুল দলের রাজনীতির সাথে জড়িত। শতভাগ বক্তাবলী ইউনিয়ন রাজাকার মুক্ত হওয়ায় খুশি সাধারণ মানুষ।
আপনার মতামত লিখুন........