আলোকিত নারায়ণগঞ্জ ২৪ ডট নেট : শহরের আল্লামা ইকবাল রোডস্থ নলেজ কোচিং সেন্টারের মালিক অপহরন মামলার আসামী লম্পট রাজ কে রিমান্ডে নিয়ে জিঙ্গাসাবাদ করেও কোন কিছু বের করতে পারেনি তদন্ত কারী কর্মকর্তা তৌহিদ। লম্পট রাজ পুলিশ কনস্টেবল আলমগীরের পুত্র হওয়ায় মামলাটি ধীরগতিতে চলছে বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী মমিনুর রহমান (ছদ্মনাম)।
জানা যায়, শহরের আল্লামা ইকবাল রোডের নলেজ কোচিং সেন্টারের মালিক শাহ জামাল রাজ তার কোচিং সেন্টারের অন্তরালে মেয়েদের ফুসঁলিয়ে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যৌন লালসা মিটাতো। ২/৩ মাস রেখে ঐ মেয়েকে তার বাবা মার কাছে পাঠিয়ে দিত।লোক লজ্জার ভয়ে মেয়েদের পরিবার মামলা মোকদ্দমা করতোনা।
এভাবে ১২/১৩ টি মেয়ের সর্বনাশ করে। ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর সকালে কোচিং করতে আসার সময় সাবিনা আক্তার (ছদ্মনাম) নারায়ণগঞ্জ কলেজের ছাত্রীকে অপহরন করে নিয়ে যায়। ভিকটিমের বাবা সদর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলা নং- ৪৯ তারিখ ২৪/১১/২০১৮ ইং।
মেয়ের বাবা মমিনুর রহমান (ছদ্মনাম) সদর মডেল থানায় অপহরন মামলা দায়ের করে এর কপি র্যাবকে প্রদান করে। র্যাব ২০১৮ সালের ২১ ডিসেম্বর রাত ২টায় ফরিদপুর হতে অপহরনকারী লম্পট রাজকে গ্রেফতার করে ও ভিকটিম সাবিনাকে উদ্ধার করে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করে।
পরে কোর্টে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত লম্পট রাজকে জেলহাজতে প্রেরন করে এবং ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। আগামী ১৩ জানুয়ারী রবিবার ৩ দিনের রিমান্ড শেষে লম্পট রাজকে আদালতে প্রেরন করা হবে। তদন্ত কারী কর্মকর্তা এসআই তৌহিদ লম্পট রাজের কাছ থেকে কোন তথ্য আদায় করতে পারেনি।
বাদীর অভিযোগ রাজের পিতা পুলিশ কনস্টেবল ও গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা হওয়ায় জামাই আদরে রাখা হয়েছে বলে কোন তথ্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তৌহিদের কাছে মুঠোফোন জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন কিছু বের করা সম্ভব হয়নি তবে তথ্য বের করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন........