আলোকিত নারায়ণগঞ্জ:দীর্ঘ ১১ মাস পর রূপগঞ্জের নুরবানু (৫৫) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আসামিরা করাত দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে নুর বানুকে। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আসামি কামরুজ্জামান শনিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আলমের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানাগেছে, গত বছরের ৩০ জুন রূপগঞ্জের গন্ধর্বপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে খুন হন নুর বানু। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানায় নিহতের ছেলে ইলিয়াস মিয়া একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশী তদন্ত চলাকালে মামলাটির তদন্তভার পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলার উপর ন্যস্ত হয়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পিবিআইয়ের তদন্ত দল গত ২৩ জুলাই সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর হতে আসামি কামরুজ্জামানকে (৩৬) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ তাকে ২ দিনের রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। গত শনিবার কামরুজ্জামান সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নুর বানুকে করাত দিয়ে গলা কেটে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।
এসময় কামরুজ্জামান হত্যাকণ্ডের সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে জাহাঙ্গীর (৫০) ও রুবেল হোসেন (৩০) নামে আরো দুজনের নাম উল্লেখ করে জবানবন্দি প্রদান করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রুবেল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে শনিবার ২ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
এব্যাপারে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, বাদী এবং আসামিদের মধ্যে সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের কারণে নুর বানু হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে। পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলায় একটি ক্রাইমসিন ভ্যান যুক্ত হওয়ায় দীর্ঘ ১১ মাস পরে হলেও এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন সহজ হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন........