আলোকিত নারায়ণগঞ্জ: ফতুল্লা থেকে অপহরণের ৭২ ঘন্টার পর শিশু জুবায়ের আহমেদ (৮)কে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
বুধবার (১২ জানুয়ারী) রাজধানীর উত্তরা থেকে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার সহ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
ধৃত অপহরণকারীর নাম জাকির হোসেন (৩৬)। সে ময়মনসিংহ জেলার কুল্লাব গ্রামের আকবর হোসেনের ছেলে।
এর আগে অপহৃত শিশুটির মা বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান র্যাব-১১ এর এএসপি রিজওয়ান সাঈদ জিকু।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, অপহরণকারী জাকির হোসেন (৩৬) ও তার স্ত্রী নাজমা খাতুন (৪০) ৪ মাস পূর্বে ভিকটিমের বাসার পাশে নিজেদের আসল পরিচয় গোপন করে ‘জাহাঙ্গীর ও রোজিনা’ ছদ্মনাম ব্যবহার করে একত্রে ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল। তখন থেকেই জাকির ও তার স্ত্রী নাজমা ভিকটিম সহ আশেপাশের শিশুদের অপহণের পরিকল্পনা করে আসছিল। তাই সে ও তার স্ত্রী পরিকল্পনা অনুযায়ী ভাড়াটিয়া অন্যান্য প্রতিবেশী পরিবারের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন ও শিশুদের আদরের মাধ্যমে সকলের বিশ্বস্ততা অর্জনের চেষ্টা করে এবং অপহরণ করার সুযোগের অপেক্ষা করতে থাকে। এই বিশ্বস্ততার সূত্র ধরে গত ৯ জানুয়ারি রাত ৮টায় গ্রেফতারকৃত জাকির তাদের পাশের রুমের ভাড়াটিয়া ভিকটিমের মা রেখা বেগম (২২) এর কাছ থেকে তার ৮ মাসের শিশুপুত্র জুবায়ের আহম্মেদকে কোলে নেয়। এরপর সুযোগ বুঝে গ্রেফতারকৃত জাকির ও তার স্ত্রী কৌশলে শিশু জুবায়েরকে অপহরণপূর্বক পালিয়ে যায়। এরপর রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে অপরহণকারী জাকির মোবাইল ফোনে ভিকটিমের পরিবারের নিকট বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মুক্তিপন দাবি করে। বারবার গ্রেফতারকৃত জাকিরের চাহিদা অনুযায়ি ভিকটিমের পরিবার মুক্তিপন পরিশোধ করলেও সে নতুন নতুন কৌশলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আরো মুক্তিপন দাবি করে। এ সময়ে গ্রেফতারকৃত জাকির শিশু জুবায়েরকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও সর্বশেষ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করছিল।
সর্বশেষ গত ১২ জানুয়ারি র্যাব সদর দপ্তরের সহায়তায় র্যাব-১১ এর একটি চৌকষ আভিযানিক দল ঢাকা জেলার উত্তরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর এই অপহরণ মামলার ভিকটিম ৮ মাসের শিশু জুবায়ের আহম্মেদকে উদ্ধার সহ মামলার প্রধান আসামী অপহরণকারী জাকির হোসেন (৩৬) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত জাকিরের স্ত্রী মামলার অন্যতম আসামী নাজমা খাতুন গ্রেফতার এড়ানোর জন্য দেশের ভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে আছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য র্যাব-১১ সচেষ্ট রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন........