নিজস্ব সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার কারণে ব্রহ্মপুত্র নদী দখল করে গড়ে তোলা হচ্ছে বহুতল ভবন। এ যেন নদী দখলের প্রতিযোগীতা। ভূমিহীনদের বরাদ্দকৃত জায়গা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। তবে এর মধ্যে অন্যতম দখলদার সেলসারদি এলাকার মনির হোসেন। তিনি নদের উপর তিনতলা স্থায়ী পাকা বিল্ডিং করে রেখেছে।
সরেজমিনে গিয়ে বন্দর উপজেলার সাবদী বাজারে অবৈধ স্থাপনার খোঁজ খবর নিয়ে দেখা যায় সাবদী বাজার থেকে কলাগাছিয়া বাজার পর্যন্ত ২০ থেকে ২৫টি দোকান করে রেখেছে স্থায়ীভাবে। জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে আইনজীবী ও প্রভাবশালীরা ব্যক্তিদের দখলে ব্রহ্মপুত্র নদী। তারা নামে-বেনামে ভূমিহীন সেজে এ জমি লিজ নিয়েছে। অনেক পরিবার পজিশন বিক্রি করে দিয়েছে। সরকারি বিধি অনুসারে একসনা বন্দোবস্ত জমিতে পাকা ইমারত নির্মাণ করতে পারে না এবং বিক্রিও করতে পারে না বলেও স্থানীয়রা জানান।
সাবদী বাজারের একাধিক দোকানদার বলেন, দখলদার মনির হোসেন ওরফে মন্টু মনিরসহ জনপ্রতিনিধি, আইনজীবী ও প্রভাবশালীরা এ জায়গা দখল করে রেখেছে। এলাকাবাসী প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেনা বলে জানান। স্থানীয় গনমাধ্যমে একাধিক বার সংবাদ প্রকাশের পরও টনক নড়েনি বন্দর উপজেলা প্রশাসনের। এদিকে দখলদারদের দাবি তারা ক্রয়কৃত জায়গায় বহুতল ভবন নির্মান করেছে।
অপর দিকে সচেতন মহলের অভিমত, নদ-নদীর জায়গা কোনো ব্যক্তির সম্পদ হতে পারে না। এটা রাষ্ট্রের সম্পত্তি। অথচ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং উপজেলা প্রশাসন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পারস্পরিক যোগসাজসে একের পর এক নদী দখল করে বহুতল ভবন নির্মানের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে ব্রহ্মপুত্র নদীতে অবৈধভাবে তৈরীকৃত বিল্ডিংয়ের মালিক মো.মনির হোসেনের ব্যবহৃত মুঠোফোন (০১৯১১৬১২***) নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক মো. গুলজার আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। আগামীকাল আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখবো এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
ব্রহ্মপুত্র নদীকে অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে বাচাঁতে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।
আপনার মতামত লিখুন........