কিছুটা উন্নতি হয়েছে সিরাজগঞ্জ ও মানিকগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি। ভারী বৃষ্টিতে কুড়িগ্রামে আবারও বাড়ছে বন্যার পানি।
এদিকে, বেড়েই চলেছে ফরিদপুরে পদ্মার পানি। জেলার ছয় উপজেলার ২৫টি ইউনিয়নের প্রায় ৬০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে বিভিন্ন সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে যাতায়াত।
রাজবাড়ীতে পদ্মার পানি বাড়ায় সদর, গোয়ালন্দ, পাংশা ও কালুখালী উপজেলার দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। অনেকে খোলা আকাশের নিচে দিন পার করছে।
পরপর দু’দফা বন্যায় বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে বাড়িঘর, ফসলি জমি, মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। মানবেতর দিন কাটাচ্ছে পানিবন্দী লক্ষাধিক মানুষ। মানিকগঞ্জে পদ্মা ও যমুনার পানি বাড়ায় চরাঞ্চলের ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও গো খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় সড়ক ভেঙে গেছে। তলিয়ে গেছে ৭ হাজার হেক্টর ফসলি জমি।কুড়িগ্রামে ভারী বৃষ্টিতে আবারো বাড়ছে ধরলা নদীর পানি। জেলার চর ও নিম্নাঞ্চলের প্রায় ২ লাখ বন্যা দুর্গত মানুষের জন্য মিলছে না প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তা। এদিকে, তিস্তার ভাঙন তীব্র হয়ে উঠেছে। বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকাতে চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি কমলেও কমেনি করতোয়া, বড়াল, ইছামতীসহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি। পানিবন্দি প্রায় দুই লাখ মানুষ। বন্যার পানি উঠে পড়ায় বন্ধ হয়ে গেছে নিশ্চিন্তপুর, মনসুর নগর ও নাটুয়ারপাড়া মা ও শিশু কল্যাণ হাসপাতালসহ চরাঞ্চলের ২৪ টি কমিউনিটি ক্লিনিক।
এছাড়া, সিলেটে সুরমা, কুশিয়ারা, সারি, পিয়াইনসহ প্রায় সব নদনদীর পানি কমেছে। নামছে নিম্নাঞ্চলের পানিও। তবে, এখনো কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট এলাকার বেশকিছু নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামেনি।
আপনার মতামত লিখুন........