নারায়ণগঞ্জমঙ্গলবার , ১ জুন ২০২১
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

সিদ্ধিরগঞ্জে ছেলে হত্যায় অভিযুক্ত সেই মায়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

Alokito Narayanganj24
জুন ১, ২০২১ ৭:১৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃ নরসিংদীর একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এই নারীই  সিদ্ধিরগঞ্জে আলিম পরীক্ষার্থী ছেলে হত্যার অভিযোগে পলাতক নাছরিন আক্তার বলে জানায় পুলিশ।

তবে ওই নারী হোটেলের রেজিস্টারে তার নাম রেহানা আক্তার বলে উল্লেখ করেছিলেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, সোমবার দিবাগত রাত ১টায় নরসিংদীতে এক নারীর লাশ উদ্ধারের খবর পাই। বাবার নাম ও চেহারায় মিল পেয়েছি আমরা। লাশ শনাক্ত করতে থানা থেকে পুলিশ পাঠানো হয়।

সোমবার বিকালে নরসিংদী শহরের বাজিড়মোড়ের নিরালা নামক আবাসিক হোটেল থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করে সদর মডেল থানা পুলিশ। পুলিশ ও হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়, রোববার সন্ধ্যায় একাই নিরালা হোটেলের একটি কক্ষ ভাড়া নেন ওই নারী। এ সময় হোটেল রেজিস্ট্রারে তার নাম-ঠিকানা লেখা হয় রেহানা আক্তার (৩০), পিতা আবু তাহের, মাতা ফাতেমা জোহরা, গ্রাম ডৌকাদি, নরসিংদী।

সোমবার দুপুরে ভেতর থেকে হোটেল কক্ষের দরজা বন্ধ থাকায় ও তার সাড়া না পেয়ে সদর থানায় খবর দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে বিকাল সাড়ে ৩টায় পুলিশ কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে জানালার গ্রিলের সঙ্গে ওই নারীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।

নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত বলেন, সোমবার বিকালে হোটেলের কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই নারীর সঙ্গে সিদ্ধিরগঞ্জের ঘটনার নারীর মিল আছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত নই। তবে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম এসেছে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য।

প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে নাজমুছ সাকিব নাবিল (২০) নামে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। রোববার রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নাবিলের মৃত্যুর জন্য নিহতের মা নাছরিন আক্তারকে দায়ী করছেন বাবা সগির আহমেদ। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নাছরিন আক্তারকে আসামি করে একটি হত্যা মামলাও দায়ের করেছেন।

মামলার এজাহারে সগির আহমদ উল্লেখ করেন, তিনি রোববার রাত ৮টায় বাসায় ফিরে ঘর তালাবদ্ধ দেখতে পান। তার কাছে থাকা বাড়ির অন্য চাবি দিয়ে তালা খুলে রুমে প্রবেশ করে সন্তানকে জখম অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে থাকতে দেখেন। ছেলের শরীরে ধারালো অস্ত্রের ২০-২৫টি দাগ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় এজাহারে।

পরে আশপাশের লোকজনকে ডেকে তাদের সহযোগিতায় সাকিবকে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ডের প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ধানমন্ডি হেলথ কেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়ার পথে সাকিব মারা যায়। ঘটনার পর থেকে তার স্ত্রী পলাতক ছিলেন।

এজাহারে তিনি আরও উল্লেখ করেন, তার স্ত্রীর দীর্ঘদিন যাবত মানসিক সমস্যা ছিল। তার সন্দেহ স্ত্রী নাসরিন ও অজ্ঞাতনামা আসামির সহায়তায় সন্তান সাকিবকে হত্যা করা হয়েছে।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান।

 

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!