আলোকিত নারায়ণগঞ্জ: সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়িতে অবৈধভাবে জন্মনিবন্ধন করে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট তৈরিতে সহযোগিতার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অফিস সহকারীসহ সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে র্যাব-২ এর উপ-পরিদর্শক (এসআই) খায়রুল হাসান বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
আসামিদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অফিস সহকারীসহ সাতজন আছেন। এর মধ্যে ১১ আসামি পালাতক আছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন বন্দর উপজেলার ফনকুল এলাকার বাসিন্দা কম্পিউটার অপারেটর আজিম আহমেদ, দনিয়া এলাকার ফজলুল করিম, সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অফিস সহকারী মাঈন উদ্দিন ও রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন, সোনারগাঁ উপজেলা বৈদ্যারবাজার এলাকার সাইফুল ইসলাম, নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর ভবদেবপাড়া এলাকার কুল্লাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও উদ্যোক্তা সদস্য মামুন অর রশীদ, রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এলাকার উদ্যোক্তা সদস্য শারমিন আক্তার। পলাতক আসামি হিসেবে আরও ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা অবৈধভাবে জন্মনিবন্ধন সংগ্রহ করে ১৩ থেকে ১৪ রোহিঙ্গাকে পাসপোর্ট তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণা, জন্মসনদ নিবন্ধনের জাতীয় তথ্য ভান্ডারে অন্যায়ভাবে প্রবেশ, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি এলাকায় নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের পাশে তিনটি দোকানে অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক করে র্যাব। এ সময় ২৫ হাজার ভুয়া সনদ জব্দ করা হয়। এই ভুয়া সনদ রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট তৈরিতে সহযোগিতা করছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
আটকরা হলো- নারায়ণগঞ্জের ফজলুল করিম (৩৩), সাইফুল ইসলাম (২৪) ও আজিম হোসেন (২৬), নেত্রকোনার একটি ইউপির উদ্যোক্তা সদস্য মামুন মিয়া (৩৫), ঢাকার একটি সিটি করপোরেশনের মাঈন উদ্দিন (৩৮) ও জাহাঙ্গীর (৩৬)।
আপনার মতামত লিখুন........