আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃদেশের জলাশয়কে জাতীয় সম্পদ উল্লেখ করে সব ধরনের জলাভূমি রক্ষা, উন্নয়ন এবং ব্যবস্থাপনার জন্য পৃথক আইন এবং পৃথক (জলাভূমি মন্ত্রণালয়) মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দ্রুত জলাভূমি সুরক্ষা, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন প্রণয়ন করতে বলা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার ছয়টি মৌজার (পিরোজপুর, জৈনপুর, ছয়হিস্যা, চরভবনাথপুর, বাটিবান্ধা এবং রতনপুর) কৃষিজমি, জলাভূমি, মেঘনা নদীর অংশ ভরাট করে ‘সোনারগাঁও রিসোর্ট সিটি’ এবং ‘সোনারগাঁও ইকোনমিক জোন’ নির্মাণ কার্যক্রমকে অবৈধ ঘোষণা সংক্রান্ত হাইকোর্টের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা এক রিট মামলায় সোনারগাঁও-এ ইউনিক প্রপার্টিজের অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ অবৈধ ঘোষণা করে ছয় মাসের মধ্যে মাটি সরিয়ে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়ে রোববার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় ১৩২ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে, হাইকোর্ট জলাশয়কে জাতীয় সম্পদ ঘোষণা করে দেশের প্লাস্টিকের ব্যাগ নিষিদ্ধ করারও নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গে দেশের সব সড়ক-মহাসড়কে পৃথক সাইকেল লেন তৈরির করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশকে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নির্ভর রাষ্ট্রে পরিণত করার মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এজন্য সরকারকে পৃথক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করতে বলা হয়েছে রায়ে।
বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় লেখেন। আদালতে এই রিট মামলায় বেলার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল, অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মিনহাজুল হক চৌধুরী, আলী মুস্তফা খান ও সাঈদ আহমেদ কবীর। অপরপক্ষে ছিলেন মুরাদ রেজা, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম, আবু তালেব প্রমুখ আইনজীবী।
জলাভূমি রক্ষায় ১১ নির্দেশনা
আপনার মতামত লিখুন........