আলোকিত নারায়ণগঞ্জ ২৪ ডট নেট : স্ত্রী রিক্তা বেগমের পরকীয়ায় বাধা হওয়ায় সিদ্ধিরগঞ্জের যুবক আমিনুল ইসলাম কালুকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। গত (২ মার্চ ২০১৯) শনিবার সকালে সোনারগাঁ উপজেলার কাইকারটেক কাফুরদী এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীর থেকে কালুর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আমিনুল ইসলাম কালু সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এনায়েত নগর এলাকার নাটাই মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহত কালুর স্ত্রী রিক্তা বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক রেজাউল করিম পলাশকে আটক করেছে। এছাড়া আরও ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এনায়েত নগর এলাকার আমিনুল ইসলাম কালুর স্ত্রী রিক্তা বেগম এক ব্যাচেলর ম্যাচে রান্না করতো। সেই সুবাদে রেজাউল করিম পলাশ নামের এক ছেলের সঙ্গে রিক্তার পরকীয়া ও অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। যা রিক্তার স্বামী আমিনুল ইসলাম কালু টের পেয়ে যায়।
এ নিয়ে রিক্তার সঙ্গে কালুর দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই জের ধরে গত শুক্রবার রাতে রেজাউল করিম পলাশ ও তার সহযোগিরা কালুকে অপহরন করে সোনারগাঁয়ের কাইকারটেক কাফুরদী এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে নিয়ে গলাকেটে হত্যা করে লাশ ফেলে যায়।
পরে শনিবার সকালে এলাকাবাসী লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এদিকে অজ্ঞাত লাশের খবর শুনে নিহত কালুর ভাই সামছুল হক নারায়ণগঞ্জ জেলা হাসপাতালে গিয়ে ভাইয়ের লাশ সনাক্ত করেন এবং সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরপর রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিহত কালুর স্ত্রী রিক্তা বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক রেজাউল করিম পলাশকে আটক করেছে। এছাড়া আরো ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আলমগীর হোসেন জানান, আমিনুল ইসলাম কালু হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিককে আটক করা হয়েছে। এছাড়া আরো ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন........