আলোকিত নারায়ণগঞ্জ:সোনারগাঁয়ের বারদী ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইদুল ইসলাম ও সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামানের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে আসে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, গত ২৮ মে বিকেলে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের শান্তিরবাজার এলাকায় ইউপি সদস্য হাববিুর রহমান ওরফে হাবু ও চেঙ্গকান্দী গ্রামের জমিলা মেম্বারের ছেলে সোহেল, জুয়েল ,ফারুক মেম্বারের সর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ইউপি সদস্য হাবুকে কুপিয়ে জখম করে সোহেল গ্রুপের লোকজন। গতকাল রবিবার বিকেলে হাবু মেম্বারের ছেলে শান্তির বাজারে চটপটির দোকানে বসা অবস্থায় সোহেল গ্রুপের লোকজন তাকেও মারধর করে। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার সকালে সোহেল গ্রুপের লোকজন মাইকে ঘোষণা দিয়ে জমিলা মেম্বারর ছেলে সোহেল, জুয়েল ও ফারুক মেম্বারের সমর্থকরা দেশী তৈরী অস্ত্রেস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হাবু মেম্বারের উপর হামলা চালায় । এমন খবরে হাবু মেম্বারের লোকজনও সংর্ঘষে জরিয়ে পরে। এতে উভয় গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় সোহেল গ্রুপের লোকজন ৮/১০ টি ককটেল নিক্ষেপ করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ২০ রাউন ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্ঠা করে । পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.সাইদুল ইসলাম ও সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষে লোকজনের সাথে কথা বলে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ।
বারদী ইউ’পি চেয়ারম্যান জহিরুল হক বলেন , উভয় পক্ষের লোকজন খারাপ । তাদেরকে নিয়ে খুব অশান্তিতে আছি। তারা কাউকে মানেন না । তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দবি করেন তিনি ।
সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, উভয় পক্ষের অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন রয়েছে ও ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন........