আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের উটমা এলাকায় রাতের আধারে কৃষকের ফসলী জমির মাটি কেটে স্থানীয় ইটভাটায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় দুই যুবলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কার্যালয় ও সোনারগাঁ থানায় ভূক্তভোগী কৃষক আমানউল্লাহ বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। রাতের আধাঁরে কৃষি জমির মাটি চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কৃষকদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছেন এলাকার কৃষকরা।
সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার উটমা গ্রামের নুর মোহাম্মদ চৌধুরীর ছেলে লিটন চৌধুরী ও মৃত বিল্লাল দেওয়ানের ছেলে আরজু মিয়ার নেতৃত্বে ১০/১২জনের একটি দল রাতের আঁধারে এলাকার কৃষক আমানউল্লাহর ফসলী জমির মাটি চুরি করে স্থানীয় ইট ভাটায় বিক্রি করে দেয়। এ ঘটনায় কৃষক আমানউল্লাহ বাদী হয়ে সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল মামুন ও সোনারগাঁ থানায় পৃথকভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কৃষক আমানউল্লাহ জানান, ইরি ধান চাষ করার জন্য জমিটি আগাছা পরিষ্কার করে প্রস্তুত করেছি। গত দু’দিন ধরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরুর প্রভাবে তার ছোট ভাই যুবলীগ কর্মী লিটন চৌধুরী ও আরজু দেওয়ানের নেতৃতে রাতের বেলায় আমার জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। সকালে জমিতে গিয়ে দেখি পুকুরের মতো করে মাটি কেটে নিয়ে গেছে তারা।
উটমা গ্রামের কৃষক শহিদুল্লাহ মিয়া জানান, প্রতিদিন রাতে কোন না কোন কৃষি জমির মাটি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা। আমাদের কৃষি জমির মাটি চুরির আতংকে রয়েছি। স্থানীয় প্রশাসনও তাদের কিছু বলে না। কৃষি জমির মাটি লুটের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
অভিযুক্ত লিটন চৌধুরীরর সাথে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের জমি থেকে আমরা মাটি কেটে বিক্রি করছি। রাতের আঁধারে মাটি কাটার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, দিনের বেলায় সড়কে যানজট থাকে বলে রাতের বেলায় মাটি কাটি।
সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, কৃষকের ফসলী জমির মাটি কাটার বিষয়ে অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আল মামুন বলেন, কোন ভাবেই ফসলী জমির মাটি কাটা যাবে না। যে কোন ভাবে ফসলী জমির মাটি কাটা বন্ধ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন........