আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ১ নম্বর আমগাঁও-বরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মর্জিনা আক্তারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত কিংবা আগে থেকে কোনো নোটিশ ছাড়াই তিনি স্কুলের প্রায় দুই শতাধিক বেঞ্চ বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির কয়েকজন সদস্য সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ দিকে, সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রধান শিক্ষিকার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী মানববন্ধনসহ বিক্ষোভ মিছিল করবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাদিপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর আমগাঁও-বরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা মর্জিনা আক্তার যোগদানের পর থেকে একের পর এক অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। ইতোমধ্যে কয়েকটি দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রধান শিক্ষিকা মর্জিনা আক্তারকে বেশ কয়েকবার সাময়িক বরখাস্ত করেছেন উপজেলা প্রশাসন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সম্প্রতি বিদ্যালয়ের সভাপতির যোগসাজশে স্কুলের প্রায় দুই শতাধিক বেঞ্চ বিক্রি করে দেন প্রধান শিক্ষিকা মর্জিনা আক্তার। সরকারি ছুটির দিন থাকায় বিক্রিত ওই বেঞ্চ বিদ্যালয় থেকে ভোরে বের করার সময় হাতেনাতে তাকে আটক করে এলাকাবাসী। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ জড়ো হতে থাকেন ওই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। এ সময় প্রধান শিক্ষিকা ও ক্রয়কৃত ব্যক্তি বেঞ্চগুলো বাইরে রেখে কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক জানান, প্রধান শিক্ষিকা মর্জিনা আক্তার শুধু বেঞ্চ বিক্রির টাকা আত্মসাৎ করেননি, তার বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে। ২০১৬ সালের ১৯ জুলাই শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাকে বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে অবরুদ্ধ করে রাখেন অভিভাবক ও এলাকাবাসী। পরে খবর পেয়ে উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসারের হস্তক্ষেপে শর্তসাপেক্ষে রক্ষা পান তিনি।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষিকা মর্জিনা আক্তার জানান, ‘আমি স্কুলের কোনো বেঞ্চ বিক্রি করিনি, স্কুলের বেঞ্চ স্কুলেই আছে। আমার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী শুধু শুধু একটি মিথ্যা অভিযোগ করেছে
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘পূর্ব নোটিশ ছাড়া কোনো মালামাল বিক্রি করার নিয়ম নেই। এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আগামী সপ্তাহে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টিতে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার মতামত লিখুন........