বিশেষ প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ ও রূপগঞ্জ থানার চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সোমবার (৪ মার্চ) এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্টিত হয়
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ বলেন, গত বছর ২০১৮ সালে রূপগঞ্জ থানায় পুলিশের এক কনস্টেবল রাসেল (৩৫)কে হত্যা করা হয়। রূপগঞ্জ থানায় আব্দুল্লাহ (৪৪) ও মাসুদ (২৬) কে আসামী করে রাসেলের মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ডিবির নিকট মামলাটি হস্তান্তর করা হয়। অবশেষে রাসেল হত্যা মামলার আসামীদের নরসিংদী জেলার মাদধদী থানাধীন বাজার হতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা স্বীকার করেছে রাসেলকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এবং আসামীদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এছাড়া গত মার্চের ২ তারিখ সোনারগাঁ থানার ব্রহ্মপুত্র নদীতে এক ব্যক্তির গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ লাশের পরিচয় পাবার জন্য বিভিন্ন অনলাইন ও ফেসবুক মাধ্যমে ঘটনাটি ছড়িয়ে দিলে মৃত্য ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায় সিদ্বিরগঞ্জ থানার এনায়েত নগরের মৃত আজমত মিয়ার সন্তান আমিনুল ইসলাম (২৫)। পরকিয়া প্রেমের জের ধরে স্ত্রী রিক্তা বেগম (২৫) পরিকল্পিতভাবে প্রেমিক রেজাউল করিম পলাশ (৩০) এবং তার বন্ধু মাসুম (২৭) ও ইমন (২৩) আমিনুলকে ১ মার্চ সন্ধ্যা বেলা বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ধারালো চাকু দিয়ে হত্যা করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করে। পুলিশ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে একাধিক টিম গঠনের মাধ্যমে সিদ্বিরগঞ্জ ও বন্দর থানায় অভিযান চালিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করেন। আসামীরা ১৬৪ ধারায় হত্যার সকল সত্যতা স্বীকার করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (তদন্ত) সুবাস।
আপনার মতামত লিখুন........