আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃফতুল্লার ভোলাইলে গৃহবধূ জেসমিন আক্তার তামান্না (২২)’র হত্যা ঘটনায় দায়ের করা মামলায় স্বামী সোহাগ হোসেন (২৪) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররচনার অভিযোগ।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) রাতে ফতুল্লার ভোলাইল মরা খালপাড় সংলগ্ন নুর ইসলামের ভাড়া বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহাগ হোসেন ঠাকুরগাও জেলার রানীশংকৈল থানার হাসেম মিয়ার ছেলে।
জেসমিন আক্তার তামান্নার আত্মহত্যার ঘটনায় তার বড় বোন নুপুর আক্তার (২৫) বাদী হয়ে সোহাগের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার পরোচনার অভিযোগ এনে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, চাঁদপুর জেলার আলগী বাজার থানার ছোট লক্ষীপুর গ্রামের শাহজাহানের মেয়ে জেসমিন আক্তার তামান্নাকে ৫ বছর পূর্বে প্রেম করে বিয়ে করে সোহাগ। ৩ বছর পূর্বে রাব্বি নামে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয় তাদের সংসারে। জন্মের পর থেকেই রাব্বিকে তামান্না তার মায়ের কাছে রেখে ফতুল্লায় চলে এসে গার্মেন্টে চাকুরী নেয়। তামান্নার উপার্জিত অর্থ দিয়েই তাদের স্বামী স্ত্রীর সংসার চলতো। সোহাগ এক সময় কাজ করলেও গত এক বছরেরও বেশী সময় ধরে সে কাজ না করে বখাটের মত ঘুরে ফিরে চলতো। স্ত্রী তামান্নাকে তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতো। এমন কি শারিরীক ভাবেও নির্যাতন করতো।প্রেম করে বিয়ে করায় সকল অত্যাচার নিরবে সহ্য করে যেতো। নির্যাতনের বিষয়ে বাসায় কাউকে জানাতো না। সাম্প্রদায়িক সময়ে মানুষিক ও শারীরিক নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় তামান্না গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা গ্রহন করা হয়েছে। সে মামলায় সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন........