আলোকিত নারায়ণগঞ্জ:নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাঈম আহাম্মেদ রিপনের বিরুদ্ধে বিচারের নামে মাদ্রাসা ছাত্রকে কবুতর চুরির অপবাদ দিয়ে বাবাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় নাসির উদ্দিন নামে ওই ব্যক্তিকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন নাসির উদ্দিনের স্ত্রী রহিমা বেগম জানান, তার ছোট ছেলে মাদ্রাসাছাত্র হাইয়াতুল ইসলামকে কবুতর চুরির অপবাদ দিয়ে কাউন্সিলর নাইম আহাম্মেদ রিপন ও তার লোকজন তাদের খানবাজার কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে তার বাবা নাসির উদ্দিন ও আমি ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর কাউন্সিলর বলে আপনাদের ছেলে কবুতর চুরি করে বিক্রি করেছে, তাই ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। কিন্তু আমার ছেলে কাছে কোনো কবুতর চুরি করেনি, এমনকি তার কাছে কোনো কবুতর পাওয়া যায়নি। পরে আমরা কাউন্সিলরকে ২৫ হাজার টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমার সামনেই আমার স্বামী নাসির উদ্দিনকে হাত-পা চোখ বেঁধে বেধরক মারধর করে মারাত্মকভাবে আহত করে।
স্ত্রী রহিমা বেগম বলেন, আমি এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় কাউন্সিলর আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন এবং থানায় অভিযোগ করলে এলাকা ছাড়া ও বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে মারাত্মক আহত অবস্থায় স্বামীকে সোনারগাঁ উপজেলার স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করি।
স্থানীয়রা জানান, কাউন্সিলর নাঈম আহাম্মেদ রিপনের কাছে পুরো এলাকার লোকজন জিম্মি হয়ে পড়েছে। সে খান বাজারে তার নিজস্ব কার্যালয় ব্যবহার করে একটি টর্চার সেল বানিয়েছেন। ওই টর্চার সেলে সাধারণ নিরীহ মানুষদের বিচারের নামে তার বাহিনীর লোকজন অমানুষিক নির্যাতন চালায়। তার নির্যাতনে অনেক নিরীহ লোকজন পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিলর নাঈম আহাম্মেদ রিপন মুঠোফোনে জানান, আমার কার্যালয়ে কাউকে মারধর করা হয়নি। শুধু মাত্র নাসির উদ্দিনের ছেলে কবুতর চুরির ঘটনায় তাকে ডেকে আনা হয়েছিল। আমার কোনো লোকজন তাদের এলাকা ছাড়া করার কোনো হুমকি দেয়নি।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, বিচারের নামে কাউকে অমানুষিক নির্যাতন চালানো যায় না। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন........