আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ মাহামুদ মুন্নাকে হত্যার চেষ্টাকারী ফতুল্লার নব্য গডফাদার, নরঘাতক বরিশ্যাইলা টিপু ও রেডিও চোর আইয়ুব গং এর ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন করেছে আহত মুন্নার স্বজন ও এলাকাবাসীরা।
শনিবার (৩০নভেম্বর) সকাল ১১টায় নারায়নগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে ফতুল্লার দাপার ইদ্রাকপুর এলাকাবাসীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধনটি।
মানববন্ধনে আহত মুন্নার বাবা মিরাজ মিয়া বলেন,আমার ছেলে মুন্নাকে গত সেপ্টেম্বর এর ৩০তারিখ বরিশাইল্লা টিপু,রেডিও চোরা আইয়ুব সহ আরো ১০/১২ জন সন্ত্রাসী হত্যার উদ্দেশ্যে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও এসিড দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে কিন্তু আমার ছেলে বেঁচে গেলেও তার ডান চোখটি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়।আমরা বরিশ্যাইলা টিপু,সাইফুল,রেডিও চোর আইয়ুব আলী,ডাকাত রেহান,ফেন্সি রাজিব,সাগর,কাইয়ুম সহ আরো অজ্ঞাত ৭/৮কে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করি।পুলিশ মামলার দুই নাম্বার আসামী সাইফুলকে গ্রেফতার করলেও আজকে মামলার ৬০দিন হচ্ছে বাকী আসামীদের এখনো গ্রেফতার করেনি তারা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।আসামীদের এলাকায় আনাগোনার সময় পুলিশকে খবর দিলেও পুলিশ তাদের নিকট থেকে টাকা খেয়ে গ্রেফতার করছে বরং আসামীরা আমাদের বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করছে মামলা তুলে ফেলার জন্য। আজকে আমরা মুক্তমঞ্চে এসেছি আমার ছেলের উপর হামলাকারীদের ফাঁসির দাবীতে।
মানববন্ধনে সৈয়দ মাহামুদ মুন্নার স্ত্রী রিয়ামনি বলেন,আজকে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার স্বামীর উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসি চাই।সরকারের কাছে অনুরোধ করছি যারা আমার স্বামীকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে তাদের ফাঁসি দেওয়া হোক।
উল্লেখ্য গত সেপ্টেম্বর ৩০তারিখ রাতে ফতুল্লার ইদ্রাকপুর এলাকায় সৈয়দ মাহামুদ মুন্নাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বরিশ্যাইলা টিপু,রেডিও চোরা আইয়ুব সহ সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে ও এসিড দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।কিন্তু মুন্না বেঁচে গেলেও তার ডান চোখ নষ্ট হয়ে যায়।মুন্নার বাবা ফতুল্লা মডেল থানায় বাদী বরিশ্যাইলা হয়ে টিপু,সাইফুল,ডাকাত রেহান,ফেন্সি রাজিব,সাগর,কাইয়ুম সহ অজ্ঞাত ৭/৮জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ দুই নাম্বার আসামীকে গ্রেফতার করতে পারলেও বাকী আসামীরা পলাতক রয়েছে এবং আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা তুলে ফেলার জন্য বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করছে। আহত মুন্নার হত্যার চেষ্টাকারীদের ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন করে মুন্নার স্বজনরা ও এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন মুন্নার বড় ভাই মাজার মাহামুদ শাওন,ভাবী আশামনি,ছোট ভাই ইমন সহ এলাকাবাসী।
আপনার মতামত লিখুন........