আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও বিজিএমইএর সদস্য সাঈদা আক্তার ওরফে সায়েদা শিউলির বিরুদ্ধে আপত্তিকর, বানোয়াট ও মিথ্যা কাহিনী সাজিয়ে কূৎসা রটানোর অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত করোনা যোদ্ধা খ্যাত কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদসহ অপর এক নারীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
ভুক্তভোগী সাঈদা আক্তার ওরফে সায়েদা শিউলি (৪০) রোববার রাতে কাউন্সিলর খোরশেদ ও আরটিএন ফেরদৌসি আক্তার রেহানাকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মো: জায়েদুল আলম বলেন, ফেসবুক লাইভে একজন নারীকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে ওই নারী একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদি শিউলি বলেন, আমি বাধ্য হয়ে মামলাটি দায়ের করেছি। আমি চাই আমার মতো যাতে আর কোনো নারীর সাথে এমনটি না ঘটে।
মামলার আসামিরা হলেন মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও ফতুল্লা থানার সস্তাপুর এলাকার আরটিএন ফেরদৌস আক্তার রেহানা ওরফে রেহানা মুসকান।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ সিএনজি অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও বিজেএমইর সদস্য। ব্যবসার কাজে প্রায় সময় তাকে দেশের বাইরে অবস্থান করতে হয়। খোরশেদের সাথে তার পরিচয় ছোট বেলা থেকে। ইতোমধ্যে তার একটি বিয়ে হয়েছিল। স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়। ওই ঘরে সন্তান ও রয়েছে। আগের পরিচয়ের সুবাধে ম্যাসেঞ্জারে সবসময় কথা হয় খোরশেদের সাথে।
একপর্যায়ে খোরশেদ তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। ২০২০ আগস্ট মাসের ২ তারিখে কাচপুরস্থ এসএস ফিলিং স্টেশনে কাউন্সিলর খোরশেদ নিজেই কাজী নিয়ে গিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দেন মোহরে তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তিনি এবং খোরশেদ বিভিন্ন স্থানে একসাথে রাত্রি যাপন সহ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে খোরশেদ তার সাথে সম্পূর্ণ রুপে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এ অবস্থায় ওই নারীকে ব্যবসায়িক কাজে দুবাই চলে গেলে চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ২৪ তারিখে খোরশেদ ফেসবুক লাইভে এসে তার বিরুদ্ধে আপত্তিকর, মানহানিমূলক তথ্য উপস্থাপন করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করে কুৎসা রটান। এর এক দিন পর ২৫ তারিখে আটটিএন, ফেরদৌস আক্তার রেহানা ওরফে রেহানা মুসকান নামক এক নারী খোরশেদ খন্দকারের বাসায় বসে লাইভে এসে তার সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করেন। তাকে রাস্তার মেয়েদের সাথে তুলনা করে আপত্তিকর কথাবার্তা বলেন এবং তার চুল কেটে ফেলা হবে বলেও ফেসবুক লাইভে বলেন। এই দুটি বিষয় দুবাই থাকাকালীন অবস্থায় তিনি তার এক বান্ধবীর কাছ থেকে জানতে পেরে পরে তাদের আইডি থেকে পুরোপুরি বিষয়টি দেখেছেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন........