আলোকিত নারায়নগঞ্জ:রূপগঞ্জে অটোচালক হত্যার ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। তারা হলো আশিক মিয়া ও রমজান মিয়া। গত রোববার তাদের গ্রেপ্তার করার পর সোমবার এ হত্যাকাণ্ড বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন র্যাব-১১। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যার শিকার হৃদয়ের ইজিবাইক ও মোবাইল ফোন।
নেশার টাকার জন্য ইজিবাইক চোরাই চক্রের হোতার পরামর্শে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে র্যাবের দাবি।
সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে র্যাব-১১ এর সদর দফতরের অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর পাশা সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত শুক্রবার রূপগঞ্জের পূর্বাচল এলাকা থেকে অটোচালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে তার বাবা দুখাই মিয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি র্যাব এর একটি গোয়ন্দো দল ছায়া তদন্ত শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায়
গত রোববার রূপগঞ্জের ব্রাহ্মণখালি এলাকায় অভিযান চালিয়ে অটোচালক হৃদয় হত্যায় জড়িত আশিক মিয়াকে গ্রেপ্তার করে তার থেকে ভিকটিমের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।
আশিক মিয়া র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে মাদক ব্যবসায়ী সবুজের কাছ থেকে নিয়মিত মাদক কিনতো ও সেবন করতো। একপর্যায়ে মাদক সেবন ও অন্যান্য কাজে আশিকের অর্থের প্রয়োজন হলে সে সবুজের কাছে টাকা ধার চায়। তখন সবুজ তাকে ইজিবাইক চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই করার বুদ্ধি দিয়ে বলে যে, পছেন থেেক গলায় গামছা পেঁচিয়ে অথবা গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যা করলে চালক কোনভাবইে প্রতিহত করতে পারবে না। এছাড়াও সবুজ আশিককে রমজানরে সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং বলে যে ছিনতাইকৃত ইজিবাইক রমজানের কাছে নিয়ে আসলে সে বিক্রি করে টাকার ব্যবস্থা করে দেবে। পরে আশিক ইজিবাইক ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে গত ৭ অক্টোবর রূপগঞ্জের ডাঙ্গা বাজার থেকে ২০ টাকা দিয়ে একটি ছুরি কিনে। পরে পরকিল্পনা অনুযায়ী একই বাজার থেকে একই দিন বিকেল ৪টার দিকে হৃদয় মিয়ার ইজিবাইক ভাড়া করে। এরপর আশিক কৌশলে হৃদয় মিয়ার ইজিবাইক নিয়ে সন্ধ্যা ৭টায় রূপগঞ্জের পূর্বাচল এলাকায় যায় এবং পেছন থেকে আশিক তার সাথে থাকা গামছা দিয়ে ইজিবাইক চালক হৃদয় মিয়ার গলায় পেঁচিয়ে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। এ সময় ধস্তাধস্তরি একর্পযায়ে আশিক হত্যার উদ্দেশ্যে তার সাথে থাকা ছুরি দিয়ে হৃদয় মিয়ার গলায় আঘাত করে এবং গলা কেঁটে হত্যা নিশ্চিত করে। এরপর আশিক ভিকটিমের ইজিবাইক চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী সবুজের নির্দেশনা অনুযায়ী বিক্রির উদ্দেশ্যে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানাধীন পাগুরা এলাকায় যায় এবং সংঘবদ্ধ চোর চক্ররে সক্রিয় সদস্য রমজানরে কাছে ইজিবাইকটি রেখে আসে।
তানভীর পাশা বলনে, এই হত্যাকান্ডরে প্ররোচণাকারী ও চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য সদস্য সবুজ গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য আত্মগোপনে রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন........