আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃসেহাচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের গেইটের সামনে বছরের পর বছর ডুবে আছে ময়লা-আবর্জনা ও দূষিত পানিতে। দেখার যেনো কেউ নেই। সেখান থেকে প্রতিনিয়ত ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। নাকে হাত দিয়ে বা কাপড় অথবা মাস্ক ব্যবহার করে চলছে পথচারীরা।
স্থানীয়বাসীর মতে পানি নিস্কাসনের জন্য অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারনে বছরের অধিকাংশ সময় রাস্তাটি পানির নীচে তলিয়ে থাকে।ফলে এ রাস্তা দিয়েই জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হয় কমলমতি হাজারো ছাত্র-ছাত্রী সহ স্থানীয় বাসীন্দাদের।
এছাড়া দাপাইদ্রাকপু বাইতুল নুর জামে মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসুল্লিদের পরতে হয় চরম দুর্ভোগে এবং স্কুলের পার্শ্বে একটি দাপাইদ্রাকপুর কমিনিউটি ক্লিনিক রয়েছে । এই ক্লিনিকে প্রতিদিন অনেক মানুষ ময়লা পানি পারিয়ে চিকিৎসা নিতে আসতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বছরের প্রায় আট থেকে নয় মাসই পানিতে ডুবে থাকে এই স্কুলের গেইট সহ রাস্তাটি। আর ময়লা-আবর্জনার সঙ্গে মিশ্রিত হয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে পুরো এলাকাজুড়ে। সেখানে জন্ম নিচ্ছে ক্ষতিকারক মশা। যা স্থানীয় মানুষদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধি করছে।
স্কুলের গেইটে দীর্ঘদিন থেকে জমে থাকা পানিতে ময়লা-আবর্জনা ফেলে আসছে আশে পাশের লোকজন। আর দুর্গন্ধ সহ্য করেই ময়লা পানি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারী বাধ্য হয়ে করতে হচ্ছে চলাচল। আশে পাশের ময়লা আবর্জনা পলেথিন ছড়িয়ে পড়ছে সড়কে। এতে করে সেখানে যেমন মশা, মাছির উপদ্রব বাড়ছে, তেমনি দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই এগুলো পঁচে গিয়ে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। উৎকট গন্ধের কারণে ওই রাস্তার পথচারীদের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হয় প্রতিদিন। কাপড় দিয়ে বা হাত দিয়ে নাক চেপে ধরে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের। এতে ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে ওই এলাকার পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য।
সৈয়দ আব্দুল বাসেদ নামে ফেসবুক আইডিতে – তিনি লিখেন, দেশে কি কোন সরকার বা প্রশাসন আছে না কি মারা গেছে এতবড় দুটা বিদ্যাপীঠ কিন্তু তার সামনের গেট ও রাস্তার কি অবস্থা।যাহা চলতেছে বছরের পড় বছর ধরে। কি লাভ নিজেকে মন্ত্রী এমপি আর সরকারের বড় কর্মকর্তা হিসাবে পরিচয় দিয়ে।
এব্যাপারে জানতে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপনের মোবাইলে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি
আপনার মতামত লিখুন........