আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃ রূপগঞ্জে হাশেম ফুডস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন নাগরিক তদন্ত কমিটির সদস্যরা। শনিবার দুপুরে নাগরিক তদন্ত কমিটির তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ সাংবাদিকদের এ এসব কথা জানান।
আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, ১৯ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটি আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত যে মৃতের সংখ্যা দেখানো হয়েছে তা নিয়ে আমরা সন্দিহান। ওপরের চারতলায় এখনো মানুষের হাড় পাওয়া যাচ্ছে। কেন অগ্নিকান্ড ঘটেছে, কীভাবে ঘটেছে এর সব তথ্য নিয়ে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন তৈরি করবেন বলেও জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক তদন্ত কমিটির আহবায়ক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, আইনজীবী মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, ডা. মো. হারুন-রশিদ, প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেন, অধ্যাপক তানজীম উদ্দিন খান, গবেষক ও সাংবাদিক প্রিসিলা রাজ ও মাহা মির্জা, শিল্পী ও সংগঠক বীথি ঘোষ, বাংলাদেশ শ্রম ইনস্টিটিউটের ট্রাস্টি গোলাম মুর্শেদ, গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের সভাপতি শবনম হাফিজ, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম সবুজ, গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী রেজাউর রহমান লেনিন।
এ ভবনটির ৪তলায় হাড় পাওয়া গেছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জ জেলার উপসহকারী পরিচালক তানহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরাও তদন্ত কমিটির সঙ্গে ভবন পরিদর্শনে ছিলাম। তখন এমন কোনো ঘটনা দেখতে পাইনি। এমন কিছু আছে কিনা তা খুঁজে দেখছি।’
উল্লেখ্য, ৮ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা এলাকায় সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাশেম ফুডস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ৫২ জনের মৃত্যু হয়। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস, জেলা প্রশাসনসহ একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
অগ্নিকান্ডের ঘটনায় একটি হত্যা ভুলতা ফাড়ির ইনচার্জ নাজিমউদ্দিন বাদী হয়ে কারখানার চেয়ারম্যান মো. আবুল হাশেমসহ ৮ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এছাড়া গত বৃহস্পতিবার কারখানা চেয়ারম্যানসহ ২ জনকে আসামী করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে শ্রম আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন........