নারায়ণগঞ্জবৃহস্পতিবার , ২২ আগস্ট ২০১৯
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

বন্দরে বাকী না দেয়ায় দোকানে রয়েল ও তুষারের হামলা

Alokito Narayanganj24
আগস্ট ২২, ২০১৯ ৬:৪৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের বন্দরে সাবদী বাজারে নান্নু ষ্টোরে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজির ঘটনার মূল রহস্য বেড়িয়ে এসেছে। মূলতঃ নান্নু ষ্টোর থেকে কতিপয় পুলিশের সোর্স রয়েলের সাথে ঈদু-উল আযহার কয়েকদিন আগে ৮শ’ টাকার বাকী সদাই নিতে চেয়েছিলো কিন্তু নান্নু বাকীতে সদাই না দেয়ায় পরিকল্পিত ভাবে গত (১৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮ টার সময় সাবদী বাজারে পুলিশের সোর্স তুষার ও সোর্স শামীমসহ অবৈধ মালামাল উদ্ধারের কথা বলে নান্নু ষ্টোরে অভিযান চালায় বন্দর থানার দুই পুলিশ সদস্য নিয়ে। তারা হলেন থানার এএস আই আমিনুল হক ও আনোয়ার হোসেন। সোর্স তুষার জিওধরা এলাকার মৃত জামান মিয়ার ছেলে, নয়ানগর এলাকার ফিরোজ মিয়ার ছেলে রয়েল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈদ উপলক্ষে বন্দরের সাবদী এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অস্থায়ীভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাট থেকে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে পুলিশের সোর্স শামীম প্রতিদিনই চাঁদা নিত। তাকে সহযোগিতা করতেন বন্দর থানা পুলিশের এএসআই আমিনুল ও আনোয়ার।

শনিবার বিকেলে তারা বিভিন্ন দোকান থেকে টাকা তুলতে গেলে স্থানীয় দোকানদারেরা রয়েল,তুষার ও শামীমের পরিচয় পত্র দেখতে চান। সে তার পরিচয় পত্র দেখাতে পারেনি। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে শামীমকে গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখে এবং সোর্স তুষার ও রয়েল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এএসআই আমিনুল ও আনোয়ার দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। বন্দর থানা পুলিশ পরে শামীমকে উদ্ধার এবং আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, এএসআই আমিনুল ও আনোয়ারকে সাময়িক প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হবে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফারকৃত শামীম এর বিরুদ্ধে মামলার হয়েছে।

অপর দিকে, সাবদী বাজারের ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য গত (১৯ আগস্ট) কিছু কুচক্রী মহল ও কিছু হলুদ সাংবাদিকরা উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে দুই সাংবাদিককে জড়িয়ে নারায়ণগঞ্জের কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায়। যার জড়িত থাকার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট এবং দোকানদার নান্নু ও পুলিশ সদস্যের দুটি কল রেকডিং আছে যা ঐ সাংবাদিকের কাছে সংরক্ষিত আছে। পরে দিন দৈনিক ইয়াদ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা।

এছাড়াও সোর্স রয়েল ও তুষার প্রতিদিন ১১ টার পর থেকে জিওধরা চৌরাস্তায় বসে বিভিন্ন মানুষকে নিজেরাই প্রশাসনের লোক বলে হয়রানী করে এবং মানুষের টাকা পয়সা এবং মোবাইল রেখে দেয় বলেও এলাকাবাসী জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!