মামলায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়ার পান্না সোহেলকে প্রধান এবং তার দেহরক্ষী জসিমসহ মোট ৩২ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাচঁজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- আইয়ুব ভুঁইয়া (৩০), সোয়াইব ভুঁইয়া (১৯), শাহীন ভুঁইয়া (৩২), অপু মিয়া (৩০) ও রহমত আলী (২৮)।
রূপগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন জানান, শনিবার রাতে মুড়াপাড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম এবং আবদুল কুদ্দুস ও ফয়েজ আলীর মধ্যে নির্বাচণী প্রচারণা নিয়ে সংঘাত বাধে। রাতে এ নিয়ে সালিশ করছিলেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়ার পান্না সোহেল।
এ সময় সালিশে হাজির হন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত ইউপি সদস্য তাওলাদ হোসেন ও তার শ্যালক আব্দুর রশিদ মোল্লাসহ আরও কয়েকজন। সালিশের এক পর্যায়ে তাওলাদের সঙ্গে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়।
এ সময় আব্দুর রশিদ তাকে বাধা দিলে ভাইস চেয়ারম্যানের দেহরক্ষী জসিম উদ্দিন গুলি করে। পরে রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩৫ বছর বয়সী রশিদের মৃত্যু হয়।
তিনি জেলার মাছিমপুরের মোল্লা বাড়ির মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে ছিলেন।
আব্দুর রশিদের লাশ ময়নাতদন্তের পর তার গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে বলে পরির্দশক হুমায়ূন কবির জানিয়েছেন।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম সায়েদ হোসেন জানান, বিশৃঙ্খলা এড়োতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদ মোতায়েন করা হয়েছে । এ মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
আপনার মতামত লিখুন........