আলোকিত নারায়ণগঞ্জ: সিদ্ধিরগঞ্জের চাঞ্চল্যকর মা ও দুই মেয়েকে গলাকেটে হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। ট্র্রিপল মার্ডারের ঘটনায় নিহত নাজনিনের স্বামী সুমন বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সুমনের ভায়রা আব্বাস (৩২) কে একমাত্র আসামী করা হয়। মামলা নং ৪৯। মামলাটির তদন্তকারি কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরো জানান, মামলাটির অধিকতর তদন্তের জন্য আব্বাসকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন আছে। তার বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে শ্যালিকা ও তার দুই কন্যাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে এবং গলা কেটে হত্যা করে দুলাভাই আব্বাস। এ সময় নিজের প্রতিবন্ধী মেয়েকেও কুপিয়ে জখম করে রেখে যায়।
নিহতরা হলো, মা নাজনীন (২৮), শিশু কন্যা নুসরাত (৫), খাদিজা (২)। নাজনীন আদমজী সুমিলপাড়া আইলপাড়া এলাকার নাজিম উদ্দিনের ছেলে সুমনের স্ত্রী। সুমন স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে পাইনাদী সিআইখোলা এলাকার আনোয়ারের বাড়ীর ৬ষ্ঠ তলায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
সুমন সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সানারপাড় এলাকার জোনাকি পেট্রোল পাম্পে চাকুরি করেন। এ ঘটনায় আব্বাসের প্রতিবন্ধী মেয়ে সুমাইয়া (১৫) ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
পরে ঘটনার দিনই বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে খানসামার কাজ করা অবস্থায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুকের নেতৃত্বে একটি দল তাকে আটক করে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইনসে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ আব্বাসকে আটকের বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের অবহিত করেন।
আপনার মতামত লিখুন........