আলোকিত নারায়ণগঞ্জ: ফতুল্লায় করোনায় মৃত্যদের দাফন গ্রুপ “নবযোদ্ধা”র ৯ম লাশের দাফন কাজ সম্পন্ন করলো। শুক্রবার ২৬ জুন বিকাল-৫ টায় মোঃ আমির (৩৯) মৃত্যুবরণ করলে, মৃত ব্যক্তির লাশ গোসল ও দাফনে কাউকে পাওয়া না গেলে ফতুল্লায় করোনায় মৃতদের দাফন গ্রুপ “নবযোদ্ধা” স্বেচ্ছায় লাশের দাফন কাজে অংশগ্রহণ করেন। মৃতের পরিবার স্বেচ্ছায় দাফনকাজ করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী কমিটির কাছে ফোন দিলে তারা যেয়ে দাফনের প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করেন।
নিহত মোঃ আমির দাপা ইদ্রাকপুর স্থায়ী বাসিন্দা হলেও তক্কারমাঠ এলাকায় ভাড়া থাকতেন, তিনি তুফানি প্রধান জামে মসজিদের সাবেক ইমাম ইউসুফ হুজুরের ছোট ভাই।
নিহতের শ্বশুর আনোয়ার হোসেন জানান, তার মেয়ের জামাই বেশ কয়দিন যাবত ঠাণ্ডা জনিত রোগে ভুগছিলেন এবং আজ সকাল থেকেই শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল, তাই আমরা ডাক্তারের পরামর্শে হাসপাতাল থেকে সিলিন্ডার এনে দুপুর ১২টা থেকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেই । বিকালে সে মারা গেলে ফতুল্লায় দাফনে স্বেচ্ছাসেবী কমিটির সাথে ফোনে কথা বলি এবং তারা এসে দাফনের সকল কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করে দেন।
এ বিষয়ে নবযোদ্ধার স্বেচ্ছাসেবী মোঃ এ এইচ আশু বলেন, নিহতের পরিবার আমাদের টীমকে ফোন দিলে আমরা মৃতের বাসায় যাই। যেয়ে দেখি মৃত ব্যক্তি বিছানায় পরে আছে। পাশে অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখাছিল। আমাদের টীমের সদস্যরা তাকে ঘর থেকে ধরে বাইরে এনে খাটিয়ায় রাখি। তারপর গোসল ও কাফনের কাজ সম্পন্ন করি। জানাজার জন্য পিকআপে করে লাশ ফতুল্লা পাইলট স্কুল মাঠে নিয়ে আসি। রাত সাড়ে ৯ টায় জানাজার নামাজ সম্পন্ন হলে দাপা কেন্দ্রীয় কবরস্থানে নিয়ে কবরস্থ করা হয়। সমস্তকাজ ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন সাহেবকে অবগত করা হয়।
নবযোদ্ধার আরেক সেচ্ছাসেবী মোঃ ফরহাদ হোসেন বলেন, আমরা ফতুল্লার সকল মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি, সকলের অবগতির জন্য বলছি, কোন এলাকায় দাফন কাজ করার জন্য লোক পাওয়া না গেলে নিন্মলিখিত নাম্বারগুলোতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
মোবাইল নাম্বারঃ ০১৯১১ ৪০৪০২০, ০১৮১২ ১৫৩১১১, ০১৮৩১ ৫৪৫৩৫৫, ০১৮৩৫ ৮৬৪৭৩৬।
সেচ্ছাসেবী ডাঃ মাসুম হোসেন বলেন, প্রতিটি দাফনের ক্ষেত্রে আমরা মৃতের কবরস্থ করার অথবা লাশ অন্য জেলায় নেওয়ার প্রয়োজনে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে দেই। তাই আপনারা মৃত ব্যক্তির সঠিক তথ্য দিয়ে আমাদের সহায়তা করুন।
উক্ত দাফন কাজে অংশগ্রহণ করেন; সেচ্ছাসেবী হাফেজ রোমান, আনোয়ার হোসেন, হাফেজ আব্দুল্লাহ, ফরহাদ হোসেন, ডাঃ মাসুম হোসেন এবং মোঃ এ এইচ আশু।
আপনার মতামত লিখুন........