আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : আরজু বেগম হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবীতে আদালত পাড়ায় বিক্ষোভ মিছিল করে র্যালি বাগান মাদক বিরোধী পঞ্চায়েত কমিটি। গত ২৯ মার্চ এলাকায় সাপ্তাহিক মাদক বিরোধী সমাবেশ চলাকালে মাদক ব্যবসায়ী ও তাদের শেল্টারদাতারা সংঘবদ্ধভাবে সেখানে হামলা চালায় এবং দক্ষিন র্যালিবাগান মাদক নির্মূল কমিটির সহ-সভাপতি আরজু বেগমকে মারধরসহ বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যা করে। সে রাতেই নারায়নগঞ্জ সদর মডেল থানায় মোঃ সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে এড. লিজা, এড. আসমা, হোসনা, সরবানু, রমজান, বিল্লাল, পপি, সনিয়া, শফিকুর, সাহাবুদ্দিন, জাকির ও মেরাজসহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। আসামীদের সে রাতেই সদর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে এবং সোমবার আদালতে তুললে আদালতের সামনে র্যালিবাগান মাদক নির্মূল কমিটিসহ টানবাজার এলাকাবাসী আদালত ঘেরাও করে আরজু বেগমের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল সহ প্রধানমন্ত্রী ও সরাষ্ট্রমন্ত্রী নিকট আবেদন করেন যেনো আরজু বেগমের হত্যাকারীদের ফাঁসি হয়।
সোমবার (১ এপ্রিল) সকালে আসামীদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে তুলে। শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কাউসার আলমের আদালতে এড. লিজা, এড. আসমাকে দুই দিনের জেল রিমান্ড ও বাকী ১১ আসামীকে তিন দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরজু বেগমের হত্যাকারীদের রিমান্ড দেওয়াতে অসন্তুষ্ট হয়ে র্যালিবাগান মাদক নির্মূল কমিটি ও টানবাজার এলাকাবাসী নারায়নগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে আরজু বেগমের হত্যাকারীদের ফাঁসির জন্য। এসময় আরজু বেগমের হত্যার একমাত্র সাক্ষী বলেন,আরজূ বেগমকে হত্যা করার সময় আমি সামনে ছিলাম। প্রথমে আরজু বেগমকে মারধর করে পড়ে লিজা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় বৈদ্যুতিক তারের উপর এবং আসমা পানি ঢেলে দেয় আমি ধরতে গেলে শক খেয়ে ছিটকে পরি। আরজুর মেয়ের জামাই ও এলাকাবাসী এসে মেটার অফ করে আরজুকে হাসপাতালে নিয়ে যাবার সময় রাস্তায় মারা যায়।
এই সময় আরজু বেগমের ১০ বছরের মেয়ে বলেন, আমি আমার আম্মুর হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে মৃত আরজু বেগমের স্বামী মোঃ সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে নারায়নগঞ্জ জেলা প্রশাসকের বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা প্রদান করেন।
আপনার মতামত লিখুন........