নারায়ণগঞ্জমঙ্গলবার , ৬ নভেম্বর ২০১৮
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

ওসির পক্ষে সোনারগাঁ থানা যুবলীগ, স্বপনকে বহিস্কার!!

alokitonarayanganj
নভেম্বর ৬, ২০১৮ ৭:২৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আলোকিত নারায়ণগঞ্জ ২৪ ডট নেট : সোনারগাঁও থানা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও সাধারন সম্পাদক আলী হায়দার চরম রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িয়েছেন। শুধুমাত্র নিজ স্বার্থে ও ক্ষমতার লোভে এবং আর্থিক সুবিধা নিয়ে দলীয় গঠনতন্ত্রের তোয়াক্কা না করে এককভাবে দলের বিপক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়ে সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি কায়সার হাসনাতের এপিএস জাহিদুল ইসলাম স্বপনকে বহিস্কার করেন। দালালী ও চামচামি করতে পুলিশের পক্ষে মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তমূলক তথ্য দিয়ে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে লোকজনকে আনতে খরচ করেন মোটা অংকের টাকা।

এমনকি তৃনমূল কোন নেতাকর্মীর সাথে আলোচনা পর্যন্ত করেনি থানা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক। বর্তমানে তারা দু’জনই চরম রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িয়েছেন। থানা যুবলীগের সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম স্বপনকে বেধরক পিটিয়ে আহত করে পুলিশ। কিন্তু নিজের কর্মীর সাথে ও দলের সাথে বেঈমানী করে ক্ষমতার লোভে, আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে এই অপকর্ম করেন রফিকুল ইসলাম নান্নু ও আলি হায়দার। এমনকি, সোনারগাঁ থানা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের এমন কর্মকান্ড ছি ছি করছে দলীয় নেতাকর্মীরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক যুবলীগ কর্মী জানায়, নান্নু ভাই জেল হত্যা দিবসের আলোচনা সভার কথা বলে নেতাকর্মীদের আসতে বলে। কিন্তু তিনি দলের নেতাকর্মীদের পক্ষ না নিয়ে ওসির পক্ষ নেয়। ওসি ও এসআইয়ের নির্যাতনের অডিও রেকর্ড প্রকাশের পরও থানা যুবলীগের এমন বির্তকিত ও নগ্নভাবে পক্ষ নেয়া মেনে নিতে পারছে তৃনমূল নেতাকর্মীরা।

এদিকে, শুধুমাত্র টাকার বিনিময়ে ও ক্ষমতার লোভে এমন কর্মকান্ড এটাই প্রথম নয় নান্নু ও আলী হায়দারের। ইউনিয়ন যুবলীগের পদ বিক্রি করেও এ কমিটি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। এক ঠান্ডা মাথার খুনি ও ডজনের উপরের মামলার আসামি পলিথিন জাকিরকে পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি করেন। এমনকি বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নবি হোসেন একটি হত্যা মামলার জড়িত হবার পর তার পক্ষে মানববন্ধন করে যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও আলী হায়দার। তারা দুজনেই রাজনৈতিক গ্রহনযোগ্যতা হারিয়েছেন। আর রফিকুল ইসলাম নান্নুর এমন বির্তকিত কর্মকান্ডের কারনে জেলা পরিষদ নির্বাচনে গো-হারা হারেন তিনি। আর আলী হায়দার হচ্ছেন আল-মোস্তাফা দালাল হিসাবে ব্যাপকভাবে পরিচিত তিনি।

রফিকুল ইসলাম নান্নু ও আলী হায়দার দলীয় ক্ষমতার অপ-ব্যবহার কর চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি মারামারি কিংবা হানাহানিরও ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল না তার বিরুদ্ধে। রাজনীতিতে নিজেরাই কলঙ্কের কালো কালিমা লেপন করলেন নান্নু ও আলী হায়দার। রফিকুল ইসলাম নান্নু ও আলী হায়দার নীতি নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সততা সব কিছু বিসর্জন দিলেন।

জানা গেছে, সোনারগাঁও থানা পুলিশের দ্বারা ব্যাপক নির্যাতনের শিকার সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি কায়সার হাসনাতের এপিএস জাহিদুল ইসলাম স্বপনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করে পুুলিশের পক্ষে মিথ্যা সাফাই গাইলেন। আদালতে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে এভাবে নগ্ন হস্তক্ষেপ আশা করেন নি সোনারগাঁবাসী।

সোনারগাঁ থানা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু বলেন, জাহিদুল ইসলাম স্বপনকে যখন একটি মামলায় পুলিশ ধরে নিয়ে যায় তখন আমিই সেখানে গিয়ে এর সুষ্ঠ সমাধানের জন্য মুচলেকা দিয়ে ওকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনি। কিন্তু পরবর্তীতে জাহিদ আমাদের সাথে যোগাযোগ না করে দলের শৃংখলা ভঙ্গ করে সোনার থানার ওসির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন যা দুঃখজনক। তাই যুবলীগের অন্যান্য সদস্যদের সাথে আলোচনার মাধ্যমেই জাহিদকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়।

সাধারন সম্পাদক আলী হায়দারের সাথে তার ব্যবহৃত (০১৭১৩০৪৮৭১৩) মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!