নারায়ণগঞ্জরবিবার , ২ জানুয়ারি ২০২২
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

খোকন সাহার ৫ লাখ টাকার ফোনালাপের রেকর্ড ভাইরাল

Alokito Narayanganj24
জানুয়ারি ২, ২০২২ ৯:০৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আলোকিত নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইভীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর জন্য ৫ লাখ টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে খোকন সাহার বিরুদ্ধে। তিনি আইভীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব। তবে এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য এসেছে উভয়ের কাছ থেকে। খোকন সাহার দাবি, মক্কেল হিসেবে তাঁর প্রচুর টাকা পাওনা রয়েছে যুবলীগ নেতা নান্নুর কাছে। আর নান্নুর দাবি, খোকন সাহার সঙ্গে মক্কেল বা রাজনৈতিক কোনো সম্পর্কই নেই তাঁর।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে এসংক্রান্ত প্রতিবেদন ও ফোনালাপের রেকর্ড ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। খোকন সাহার এমন কর্মকাণ্ডে বিব্রত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারাও। তাঁরা বলছেন, নির্বাচনী মাঠে এমন ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ায় প্রভাব পড়বে নেতাকর্মীদের মধ্যে। এরই মধ্যে বিষয়টি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতা।

আওয়ামী লীগের সূত্র জানায়, ফাঁস হওয়া ফোনালাপের রেকর্ডটি গত ২৪ ডিসেম্বরের। ভাইরাল হওয়া অডিওতে শোনা যায়, সোনারগাঁ যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুকে ফোন করে ৫ লাখ টাকা চাইছেন খোকন সাহা। নিচে ওই ফোনালাপের কথোপকথন তুলে ধরা হলো।

নান্নু: ‘হ্যালো’
খোকন সাহা: নান্নু? নান্নু?
নান্নু: হ্যাঁ।
খোকন সাহা: খোকন সাহা বলছি।
নান্নু: হ্যাঁ, আসসালামু আলাইকুম। দাদা কেমন আছেন?
খোকন সাহা: কই, কী করতেছ?
নান্নু: এই তো দাদা, আছি।
খোকন সাহা: শোনো।
নান্নু: বলেন।
খোকন সাহা:  আমি তো আইভীর পক্ষে।
নান্নু: হ্যাঁ।
খোকন সাহা: তুমি জানো, শামীম ওসমানও আইভীর।
নান্নু: হ হ ।
খোকন সাহা: আইভীরে **** (অশ্রাব্য ভাষা) দিতেছে। বুঝো না?
নান্নু: হুম, দাদা।

খোকন সাহা: সবকিছু ঠিক আছে। আমার একটু টাকাপয়সা লাগব। তোমায় কিন্তু পরিষ্কারভাবে বলে দেই। তোমার পক্ষে কেউ নাই। তোমার নামের উপর অনেকেই অনেক কথা কয়। আমি তো দলের কাজ করতেছি। আইভীকে পাস করানোর জন্য কাজ করতেছি। বুঝছ?
নান্নু: হুম হুম, জি দাদা।
খোকন সাহা: নান্নু, আমার তো টাকা লাগব। টাকা লাগব।
নান্নু: আপনের লাগব, ইয়া করব। অসুবিধা নাই।
খোকন সাহা: কালকে তুমি পুরান কোর্টে আমার চেম্বারে আমার কাযার্লয়ে আসবা, কেমন?
নান্নু: আমি তো…
খোকন সাহা: আইভী তো আমার মাইয়া, জানো তো।
নান্নু: হ হ হ।
খোকন সাহা: কালকে ৫ লাখ টাকা পাঠায় দিবা।
নান্নু: আমি তো বৈদ্যেরবাজার নিবার্চনে আছি। আমাদের বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদ নিবার্চন না পরশু দিন!

খোকন সাহা: আরে দূর, পরশু দিন বাদ দাও।
নান্নু: আমাদের সোনারগাঁয়ে…
খোকান সাহা: আইভী পাস করলে…। পরশু দিন তোমার নিবার্চন আছে, সবকিছু কাজ করমু।
নান্নু: হু হু ।
খোকন সাহা: কালকে ৫ লাখ টাকা বিকাল ৪টার সময় আমার চেম্বারে পাঠায় দিবা। পুরান কোর্টে। ঠিক আছে?
নান্নু: আমি ক্যারে? আমি কি আইভীর কিছু নাকি? আমি কিয়ের লাইগা টাকা পাঠায়তাম। আমি কিয়ের লাইগা করতাম দাদা? আমি তো আইভীর কিছুতে নাই। আমি তো সিটি করপোরেশনের কাজও করি না। বুঝেন না!
খোকন সাহা: তোমার সোনারগাঁয়ের কাজ আমি করে দিমু।
নান্নু: আইচ্ছা, দাদা। কথা কমু নে।
খোকান সাহা: টাকা যদি পাঠাও কালকে ৫ লাখ, কাজ করে দিমু তোমার। তুমি যেটা চাও করে দিমু। না পারলে উল্টো হয়ে যাইব গা।
নান্নু: আইচ্ছা ঠিক আছে। কইরেন।
খোকন সাহা: কালকে ৫টার সময় আমার চেম্বারে পুরান কোর্টে ৫ লাখ টাকা পাঠায় দিবা। তুমি দিবা-না দিবা তোমার ব্যাপার। আমি তোমারে বললাম। তোমারে অনেক পছন্দ করি। অনেক ভালোবাসি। ঠিক আছে?
নান্নু: আইচ্ছা দাদা। ঠিক আছে।
খোকন সাহা: টাকা যদি পাঠাও, তাইলে আমি তোমার সোনারগাঁয়ের কাজ করে দিমু।
নান্নু: আইচ্ছা দাদা।
খোকন সাহা: ক্লিয়ার কাট। তোমার যে ইচ্ছা ওইটা কইরা দিমু। আমার চেম্বারে তুমি ৫ লাখ টাকা পাঠায় দিবা কালকা। মাত্র ৫ লাখ টাকা।
নান্নু: আইচ্ছা দাদা।
খোকন সাহা: ওকে।

এই ফোনালাপের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে খোকন সাহা বলেন, ‘নান্নু আমার মক্কেল। আমার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। সে হয়তো অস্বীকার করে। তার পক্ষে-বিপক্ষে মামলা আমি করি। আমি তার কাছে প্রচুর টাকা পাব। নির্বাচন উপলক্ষ্যে আমার টাকার দরকার ছিল, তাই আমি বলেছি। তা-ও ঘটনা ১০-১২ দিন আগে। সে আমার মক্কেল ও ছোট ভাই। আমি তার কাছে চাইতেই পারি টাকা। মামলার ডকুমেন্ট আছে আমার কাছে। এই ব্যক্তিগত ফোনালাপ ফাঁস করা অনৈতিক মনে করি। এই কাজ করে আমাদের দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে।’

তবে খোকন সাহার দাবি অস্বীকার করে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ওনার কাছে কখনোই মক্কেল ছিলাম না আমি। উনি নির্বাচন করবেন, তাই চেয়েছেন। ওনার সাথে আমার কোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। ছোট ভাই বড় ভাই এমন কোনো যোগাযোগও নেই। উনি অনৈতিকভাবেই টাকা চেয়েছেন আমার কাছে।’

এদিকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিবের এমন অডিওর বিষয়ে মেয়র পদপ্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি কোনো দিন কারও কাছে টাকা চাইনি। আর সে আমার হয়ে টাকা চাইবে, এটা বরদাশত করব না। উনাকে এমন কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি যে টাকা চাইতে হবে। এ কাজ করে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন তিনি। দল নিশ্চয়ই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!